কোষ্ঠকাঠিন্য জব্দ হবে কোন আয়ুর্বেদিক টোটকায়? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ক’দিন ভাল-মন্দ খাওয়াদাওয়া সকলেই করেছেন। বিরিয়ানি থেকে বাঙালি ভোজ, চাইনিজ় থেকে কন্টিনেনটাল— ভূরিভোজ থেকে বাদ পড়েনি কিছুই। ইলিশ, চিংড়ি, পাঁঠার মাংস পুজোয় পাঁচ দিন বেশ জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়েছে। পুজোতে তেমন বেশি টের না পেলেও পুজো শেষ হতেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভুগছেন অনেকেই।
কোষ্ঠকাঠিন্যের এই সমস্যা কিন্তু এখন প্রায় প্রতি ঘরেই। এক জায়গায় বসে কাজ করা বা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া না করা— এই থেকেই সমস্যাটার মূল সূত্রপাত। তবে পাতে ঠিক মতো ফাইবার না থাকলে বা হঠাৎ ডায়েটে বদল এলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অনেক সময়ে বিশেষ কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। ঠিকঠাক পেট পরিষ্কার না হলে বদহজম, পেটফাঁপা ইত্যাদির সমস্যা লেগেই থাকে। তবে আয়ুর্বেদিক কয়েকটি উপায় মেনে চললে অচিরেই এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মিলবে আরাম।
জল: আপনি কি খুব কম জল খান? পুজোর ক’দিন ঠাকুর দেখার ধুমের মধ্যে আরওই জল খাওয়া হয়নি। এই জলশূন্যতা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে দিনে অন্তত ৩ লিটার জল খেতে হবে। জল ছাড়াও দইয়ের ঘোল, ফলের রস, ডিটক্স ওয়াটারেও দিনে একাধিক বার চুমুক দিতে পারেন।
ডালিয়া: কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খান ডালিয়া। এতে রয়েছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। পুজোর ক’দিন ভারী খাওয়াদাওয়া হয়েছে। তাই এখন পেটের সমস্যা কমাতে ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন।
আয়ুর্বেদ মতে কোষ্ঠাকাঠিন্য কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী যষ্টিমধু। ছবি: সংগৃহীত।
যষ্টিমধু: আয়ুর্বেদ মতে কোষ্ঠাকাঠিন্য কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী যষ্টিমধু। এটি শরীরের হজমশক্তিকেও বাড়ায়। এক কাপ জলে ১/২ চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়ো ও সামান্য গুড় মিশিয়ে খান, উপকার মিলবেই।
ঘি দেওয়া দুধ: ঘি এবং দুধ তো এত দিন আলাদা খেয়েছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর জন্য একসঙ্গে খেয়ে দেখুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ গরম দুধের সঙ্গে ২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে খান।
ত্রিফলা: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার ভাল দাওয়াই কিন্তু ত্রিফলা। রাতে ঘুমোনোর আগে গরম জলে এক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো মিশিয়ে খান। নিয়মিত এই পানীয় খেলে উপকার পাবেন।