গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের প্রসাধনী হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে ভিতর যখন নতুন প্রাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন একটু সতর্ক তো হতেই হবে হবু মাকে। এই সময় সাবধানে চলাফেরা থেকে নিয়মমত খাওয়াদাওয়া— জীবনে চলে আসে নানারকম বিধিনিষেধ। প্রতি মুহূর্তে খেয়াল করতে হয় শরীরে যে বড় হচ্ছে, তার যেন কোনও ক্ষতি না হয়।
তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া মানে তাঁর দৈনন্দিন যাপন পুরোটাই বদলে যাওয়া নয়। অফিস থেকে অনুষ্ঠান, কাজ থেকে আনন্দ-অনুষ্ঠান সবেতেই তিনি অংশ নেবেন। প্রতি দিনের রূপচর্চাও জুড়ে থাকবে। থাকবে প্রসাধনীর ব্যবহারও।
তবে জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকা বহু জিনিসেই কিন্তু এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার হয়, যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। জেনে নিন সেই ন’মাস কোন জিনিসগুলি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
সালিসিলিক অ্যাসিড
অন্তঃসত্ত্বা হলে অনেকেরই ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। মুখ-চোখের উজ্জ্বলতা কমে যায়। কারও আবার ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। কালচে ছোপ, ব্রণের দাগ তুলতে সালিসিলিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি ফেস ওয়াশ, বডি ওয়াশ ব্যবহার করা হয়। তবে এই সময় সালিসিলিক অ্যাসিড ও বেঞ্জ়য়েল পারক্সাইড রয়েছে, এমন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। যে কোনও রাসায়নিক এড়াতে বরং ঘরোয়া উপাদান রূপটানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড
সাধারণত ডিয়োডোর্যান্ট-এ এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার হয়। এ ছাড়া মেকআপ প্রাইমার থেকে নানা ধরনের প্রসাধনীতে থাকে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে। হবু মায়েদের এই ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
এসেনসিয়াল অয়েল
এই ধরনের তেলের অনেক গুণ। তবে গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের সুগন্ধী তেল ব্যবহার না করাই উচিত।
সানস্ক্রিন
কোনও কোনও সানস্ক্রিনে অ্যাভোবেঞ্জন ও অক্সিবেঞ্জন ব্যবহার করা হয়। ক্ষতিকর অতি বেগনি রশ্মি শোষণে অ্যাভোবেঞ্জন সাহায্য করে। তবে গর্ভে থাকা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এই ধরনের রাসায়নিক।
নেলপলিশ
নেলপালিশেও থাকে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পাশপাশি নখের এই রং পেটে যাওয়ার সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয় যায় না। তাই ওই ন’ মাস না হয় রং নাই করলেন নখে।
ট্রাইক্লোজান
সাবান থেকে হাত ধোয়ার তরল, মাজন-সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের অনেক জিনিসেই থাকে এই উপাদান। নতুন প্রাণের জন্য যা মোটেও ভাল নয়। খেয়াল রাখতে হবে ব্যবহার করা সাবান থেকে লোশন বা মাজনে এই ধরনের রাসায়নিক না থাকে।