ওট্স দিয়ে রূপটান। কালচে ত্বকে নিমেষে ফিরবে ঔজ্জ্বল্য। ছবি: সংগৃহীত।
ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সড্যান্টে ভরপুর ওট্স এখন থাকে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের খাদ্য তালিকায়। ডায়াবেটিসের রোগী থেকে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের সকালের খাবারটা ওট্স দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দেন অনেক পুষ্টিবিদ। তবে খাবার ওট্স যে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে বেশ কাজে দেয় তা কি জানেন?
স্নান থেকে শুরু করে ত্বকের চর্চায় ওট্স বেশ কার্যকর। ব্রণ কমাতে, ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে ওট্স স্ক্রাবার ও ক্রিম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত রূপটানে ত্বক হবে সুন্দর, উজ্জ্বল। জেনে নিন, কী ভাবে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন পুষ্টিকর এই খাদ্য উপাদানটি।
স্নান
স্নানের টাবে ঈষদুষ্ণ জলে বেশ কিছুটা ওট্স, বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। যোগ করতে পারেন ‘ওট্স মিল্ক’-ও। মিনিট পনেরো এমন জলে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকলে ত্বক হবে আর্দ্র, কোমল ও সুন্দর।
ক্লিনজ়ার
এক কাপের একটু কম হালকা গরম দুধ নিন। তাতে মেশান অর্ধেক কাপ ওট্স। মিশ্রনটা ঠান্ডা হলে ক্লিনজ়ার হিসাবে মুখে ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকে এই রূপটান ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। শুষ্ক ত্বক হলে এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
এক্সফোলিয়েটর
ওট্স ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে খুব কার্যকর। ওট্স-এর সঙ্গে আমন্ড দিয়ে হালকা করে গুঁড়িয়ে নিন। এতে দিন দুধ ও কয়েক ফোঁটা মধু। মুখের পাশাপাশি গলা, ঘাড় এমনকি সারা শরীরেই এটা ব্যবহার করতে পারেন। রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বক কোমল হবে এতে।
ক্রিম
ওট্স দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্রিমও। বাজারচলতি ক্রিমের চেয়ে ঘরে তৈরি ওট্স ক্রিম কোনও অংশে কম নয়। ওট্স গুঁড়িয়ে উষ্ণ দুধে ভিজিয়ে নিন। কিছু ক্ষণেই দুধ টেনে ফুলে উঠবে ওট্স। ঠান্ডা হলে মিশিয়ে নিন অ্যালো ভেরা জেল। ত্বক যদি শুষ্ক হয় বা শীতের দিনে ব্যবহার করেন তা হলে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ভিটামিন ই ও অলিভ অয়েল। ক্লিনজ়িং ও এক্সফোলিয়েটিং এর পর মিনিট ১৫ এই ক্রিম মাসাজ করলে ত্বক হবে টান টান, দাগহীন।