রোগের ক্ষেত্রে চিনি অনুঘটকের মতো কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস থাকলে তো বটেই, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও জীবন থেকে চিনি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অনেকেই মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খান, কিন্তু চা-কফিতে একটু চিনি না মিশিয়ে নিলে খেতে পারেন না অনেকেই। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই বিষয়ে সহমত যে, রোগের ক্ষেত্রে চিনি অনুঘটকের মতো কাজ করে। সে সব জেনেও অনেকে নানা খাবারে চিনি মিশিয়ে নেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলিতে চিনি মিশিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এমনকি, শুধু চিনি খাওয়ার থেকেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর।
ফলের রস
ফলে এমনিতেই শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলের রসে তাই আলাদা করে চিনি মেশানোর সত্যিই কোনও দরকার পড়ে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই ফলের রসে চিনি দেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। ডায়াবিটিসের পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
দুধ
রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কেউ কেউ দুধের মধ্যে এক চামচ চিনিও মিশিয়ে নেন। পুষ্টিবিদরা বারণ করছেন দুধে চিনি মিশিয়ে খেতে। দুধে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। চিনির সংস্পর্শে এসে সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়।
কফি
দুধ, চা দিয়ে তৈরি কফিতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। খেতেও বেশ ভাল লাগে। কিন্তু কফির সঙ্গে চিনি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। কফি খেলে মানসিক অবসাদ দূর হয়। মন এবং শরীর চাঙ্গা থাকে। চিনি মেশালে এগুলির কিছুই হয় না। বরং শরীর অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
সিরিয়ালস জাতীয় খাবারে
সকালের খাবারে অনেকেই কর্নফ্লেক্স থাকে। দুধ, কর্নফ্লেক্স খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। খাবারে মিষ্টত্ব আনতে কেউ কেউ আবার চিনিও মিশিয়ে নেন। আর সমস্যার সূত্রপাত সেখান থেকেই হয়। দুধে এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। ফলে আলাদা করে আর চিনি মেশালে কর্নফ্লেক্সের উপকারিতা পাওয়া যায় না।