সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে কী কী একেবারেই খাবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
প্রাতরাশে ভারী খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাই অনেকেই একগাদা ফল দিয়ে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা চিজ় ও সব্জি দিয়ে ঠাসা স্যান্ডউইচ খেয়ে নেন। পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি রাখতে নানা রকম দুগ্ধজাত দ্রব্য, মিষ্টি পাউরুটি অথবা পাস্তা-ম্যাগিও খান অনেকে। এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিদেদের কথায়, সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে যদি কেউ দুধ বা দই খান তা হলে তা হজম তো হবেই না, দিনভর অম্বলের জ্বালা সইতে হবে। অনেকেই ভাবেন, সকালে ফল খেলে হয়তো শরীরের পুষ্টি হবে। কিন্তু ফল সবসময়েই খেতে হবে দুটি মিলের মাঝের সময়ে। সকালে উঠেই যদি ডিটক্স পানীয় ও তার পরে বাদাম জাতীয় কিছু খেয়ে তার পরে প্রাতরাশে দুধ খান তা হলে ততটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু খালি পেটে কী কী একেবারেই খাবেন না, তা জেনে রাখা ভাল।
খালি পেটে দুধ দিয়ে সিরিয়াল নয়
দুধ দিয়ে কর্নফ্লেক্স বা ওট্স যাই খান, একেবারে খালি পেটে খাবেন না। খালি পেটে দুধ, দুধের যে কোনও খাবার বা দই খেলে তা সহজে হজম হবে না। ল্যাকটোজ় হজম করতে সময় লাগে পাকস্থলীর। খালি পেটে খেলে তা বদহজমের কারণ হতে পারে।
চা-কফি নৈব নৈব চ
সকালে উঠে খালি পেটে যে কোনও ডিটক্স পানীয় খাওয়া ভাল। সে মৌরী-মেথি ভেজানো জল বা জিরে ভেজানো জল হতে পারে। অথবা মরসুমি ফল ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিয়ে তা-ও খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু খালি পেটে চা বা কফি খেলে তা অম্বলের কারণ হয়ে উঠবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
ঠান্ডা পানীয় একেবারেই নয়
নরম পানীয় বলে শুধু নয়, যে কোনও প্যাকেটবন্দি ফলের রস, হেলথ ড্রিঙ্ক খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। এগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট ও শর্করা থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তা ছাড়া নরম পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকে যা পেট ফাঁপার মতো রোগের কারণ হতে পারে।
বেশি তেল দেওয়া খাবার
সকাল সকাল তেলে ভাজা পরোটা অথবা চাউমিন বা পাস্তা খেলে তা গ্যাস-অম্বল আরও বাড়িয়ে তুলবে। বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবারে ক্যাপসাইসিন নামে একধরনের উপাদান থাকে, যা পেটের গোলমাল বাঁধায়। বেশি তেল দেওয়া কোনও খাবারই সকালে খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়।
মদ্যপান করলেই বিপদ
খালি পেটে মদ্যপান করলেই তা দ্রুত রক্তে মিশবে ও শরীরে টক্সিনের মাত্রা দ্বিগুণ করবে। সকালে খালি পেটে অ্যালকোহল তো বটেই, কোনও রকম মকটেল বা ককটেলও পান করা উচিত নয়।