কাঠবাদামে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত
সকালে উঠে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কাঠবাদামের গুণাগুণ নিয়ে বলা বাহুল্য। ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বাদাম বহু অসুখ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের গবেষকদের করা একটি গবেষণা বলছে, ভেজানো বাদামের উপকারিতা আলাদাই। কারণ কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে লাইপেস নামে একটি উপাদান নির্গত হয়। যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকের মনেই একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে যে, কাঠবাদাম কি সত্যিই পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে?
‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ শীর্ষক একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুসারে, কাঠবাদামে থাকা মাইক্রোনিউন্ট্রিয়েন্টস পেটের গোলমাল দূরে রাখতে সাহায্য করে। এই উপাদান পেটে অবস্থিত সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া কাঠবাদামে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে দারুণ কাজ করে। সারা দিনে কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখ চালাতে চকোলেট, চিপসে্র বদলে মুখে পুরতে পারেন কাঠবাদাম।
কাঠবাদামে শুধু লাইপিস নয়, ফাইটিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান থাকে। যা পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বলের মতো অনেক সমস্যা থেকে চটজলদি মুক্তি দিতে পারে। কোনও কারণে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে পড়লে এই অ্যাসিড বিপাকক্রিয়া চাঙ্গা করে তোলে। আর কী কী গুণ রয়েছে এই কাঠবাদামের?
পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কাঁচা কাঠবাদাম খেতেই পারেন। প্রতীকী ছবি।
এই বাদামে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কাঁচা কাঠবাদাম খেতেই পারেন। হালকা খিদের সময়ে এই বাদাম খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। হজমশক্তি ও বিপাকহার বাড়াতে এই বাদাম ডায়েটে রাখা যেতে পারে। এই বাদামে ভাল পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, ফলে এই বাদাম খেলে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যেতে পারে। প্রদাহের ঝুঁকি কমে।
মরসুমি সর্দি-কাশি-জ্বরের হাত থেকেও রক্ষা করে এই বাদাম। মন ভাল রাখতেও সাহায্য করে। ট্রিপটোফ্যান নামক একটি পদার্থ শরীরে যায় কাঠবাদামের মাধ্যমে। তা থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন। এই হরমোনই মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে অবসাদ বা উদ্বেগের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।