প্রতিদিন ঠিক কতটা অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া নিরাপদ? ছবি: শাটারস্টক।
দুর্গাপুজোর জন্য পাঁচ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন? তবে পুজোর ক’দিন অনিয়মে ওজন আবার বেড়ে গিয়েছে। এ বার আবার লাগাম না টানলে মুশকিল! ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই অ্যাপল সিডার ভিনিগার-এর উপরেই ভরসা রাখেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয় এই টনিক। শরীরে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই টনিকের জুড়ি মেলা ভার। সৌন্দর্য রক্ষার কাজেও লাগে এটি। কিন্তু ভিনিগারের অ্যাসিড-জাতীয় চরিত্রের কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিয়ম পালন করা জরুরি।
দিনে কতটা মাত্রায় খেলে তা স্বাস্থ্যকর হবে?
দিনে ১৫ মিলিলিটার বা বড় চামচের এক চামচের বেশি অ্যাপল অ্যাপল সিডার ভিনিগার না খাওয়াই শ্রেয়। খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নয়। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেলে এর অম্ল-গুণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। এ ছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন, তা অবশ্যই জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই পানীয়ে অন্য কিছু ভুলেও মেশাবেন না।
বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
কখন খাওয়া ভাল?
১) ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এই পানীয় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ভাল হয়। শরীরের মেদ দ্রুত ঝরাতে এই উপায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
২) বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া যেতে পারে। সকালে এই পানীয় খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হবে। তবে সকালে খালি পেটে এটি খেলে এর গন্ধে অনেকের বমি বমি ভাব হয়। সে ক্ষেত্রে জলখাবারের পরে খেতে পারেন এই পানীয়।
৩) ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রেও এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) গলা ব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ গরম জলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। তবে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে রাতের বেলা এই পানীয় না খাওয়াই শ্রেয়।