শরীরে কী রোগ রয়েছে তা না দেখে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
উষ্ণ জলে মধু এবং লেবুর রস দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস বহু পুরনো। তবে দ্রুত মেদ ঝরাতে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে ব্যক্তি বিশেষে কাউকে কাউকে লেবুর রসের বদলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার উষ্ণ জলে মিশিয়ে খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই নিয়ম যে সকলের ক্ষেত্রে খাটবে, তা কিন্তু নয়। কার শরীরে কী রোগ রয়েছে তা না দেখে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া ঠিক নয়।
শরীরের জন্য কতটা উপকারী?
অম্লত্ব ছাড়া অ্যাপল সিডার ভিনিগারের আর বিশেষ কোনও উপকারিতা নেই। অন্য দিকে, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট। একটি লেবু থেকে প্রায় ৩১ গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা প্রতি দিনের হিসাবে যথেষ্ট।
পাকস্থলীর জন্য কি এই ভিনিগার ভাল?
দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি দিন সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খান, তাঁদের হজম সংক্রান্ত গোলমাল বেশি হয়। অন্য দিকে, খাবার খাওয়ার আগে লেবুর জল খেলে তা হজমের পক্ষে সহায়ক। খাবার হজমের সহায়ক বিভিন্ন উৎসেচক নিঃসরণেও সহায়তা করে লেবুর রস।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কি অ্যাপল সিডার ভিনিগার খাওয়া যায়?
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য অ্যাপল সিডার ভিনিগার যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কারণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত যে ধরনের ওষুধ দেন, তার সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যাপল সিডার ভিনিগার। অন্য দিকে, লেবুতে থাকা বিভিন্ন খনিজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবিটিস থাকলেও অ্যাপল সিডার ভিনিগার ক্ষতিকর?
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁরা অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেলে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎই কমে যায়। উল্টো দিকে, লেবুর রসে এমন কোনও সমস্যা হয় না বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা।