চিকিৎসকরা বলছেন, বছরের এই সময়টিতেই শিশুদের মধ্যে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। ছবি-সংগৃহীত
কোভিড-১৯ এবং মাঙ্কিপক্স আবহের মধ্যেই নতুন উদ্বেগের নাম ‘এইচএফএমডি’ বা হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিস। এই রোগে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চণ্ডীগড়, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, গোয়া, ওড়িশার বেশ কিছু অঞ্চলে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। সংখ্যায় কম হলেও এ রাজ্যেও ‘এইচএফএমডি’-এর প্রকোপ কম নয়। চণ্ডীগড়ের কয়েকটি স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলছেন, বছরের এই সময়টিতেই শিশুদের মধ্যে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক।
‘এইচএফএমডি’-এর উপসর্গ কী?
শুরুর দিকে সাধারণত জ্বর, খিদে না পাওয়া, শারীরিক অস্বস্তি, গলাব্যথার মতো উপসর্গগুলি থাকে। দু’এক দিন পর থেকে প্রবল জ্বর এবং সেই সঙ্গে মুখের মধ্যে ঘা দেখা দেয়। এ ছাড়াও হাতের তালু, পায়ের পাতা, হাঁটু, কনুইয়ে লাল ফুসকুড়িও এই রোগের উপসর্গ।
হাত, পা, মুখের ভিতর ফুসকুড়ি বা ঘায়ের মতো উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে না-ও দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির লালা, থুতু, হাঁচি-কাশি, শ্লেষ্মার সংস্পর্শে এলে এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
‘এইচএফএমডি’ প্রতিরোধে কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি?
এই রোগে আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসকদের মতে, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাই বেশি। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১) শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি। ফলে সন্তানকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব থাকেন বাবা-মায়েরা। তবু চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তের সংস্পর্শে যত কম আসা যায় ততই ভাল। সব সময় তা সম্ভব হয় না। তাই তাঁদের পরামর্শ, রোগীর দেখভালের সময় মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করা প্রয়োজন।
২) রোগীর ব্যবহার করা থালা, গ্লাস, বাটি-চামচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করা জরুরি।
৩) রোগীর দেখাশোনার পর সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।