মন ভাল রাখার পাশাপাশি নলের গুড় শরীরের খেয়ালও রাখে। ছবি: সংগৃহীত
শীতকালের অন্যতম প্রাপ্তি হল নলেন গুড়। বাঙালির শীতকাল নলেন গুড় ছাড়া জমে না। রসগোল্লা, পায়েস, সন্দেশ, পিঠে-- সবেতেই চাই নলেন গুড়ের ছোঁয়া। সামনেই পৌষপার্বণ। এই সময় নলেন গুড়ের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়। নলেন গুড়ের তৈরি পিঠে খেলেই মন ভাল হয়ে যায়। তবে মন ভাল রাখার পাশাপাশি নলের গুড় শরীরের খেয়ালও রাখে। স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই নলেন গুড় অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। এই সময় জল খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। ফলে এই ধরনের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে নলেন গুড় কিন্তু কাজে আসতে পারে। হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পেট পরিষ্কার রাখে এই গুড়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে ভরসা রাখতেই পারেন নলেন গুড়ের উপর।
স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই নলেন গুড় অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে। ছবি: সংগৃহীত
রক্তাল্পতা
হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্তাল্পতায় অনেকই ভুগছেন। আয়রনের ঘাটতি হলেই মূলত কমতে থাকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। নলেন গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ নলেন গুড় খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে। রক্তাল্পতায় ভুগলে বা শরীরে আয়রনের অভাব হলে শীতকালে রোজ এই গুড় খাওয়া জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতকালে নানা রকম মরসুমি সংক্রমণের ভয় থাকে। আবার এই মরসুমে প্রতিরোধশক্তি কিছুটা হলেও কমে যায়। এই সময় সুস্থ থাকতে নলেন গুড় খুব উপকারী। এই গুড়ের মধ্যে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণ রোধ করে।
ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে
শীতকাল মানেই সর্দি-কাশির প্রকোপ। ঠান্ডা লেগে জ্বর, হাঁচি-কাশি তো লেগেই রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে মাথাব্যথা, চোখ থেকে জল পড়ার মতো সমস্যাও। সুস্থ থাকতে শীতকালে ভরসা রাখতে পারেন নলেন গুড়ের উপর। হঠাৎ মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হলে একটু গরম জল করে তাতে একটু নলেন গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।