ইলিশের ডিমের প্রতি বাঙালির প্রেম একেবারে খাঁটি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল মানেই বাঙালি বাড়িতে ইলিশের গন্ধ ম ম করে। সর্ষে থেকে ভাপা, ইলিশের নানা বাহারি পদ রান্না হয় হেঁশেলে। একই রকম জনপ্রিয়তা ইলিশের ডিমেরও। বাজারে গিয়ে ডিমভর্তি ইলিশের খোঁজ করেন অনেকেই। ইলিশের ডিমের প্রতি বাঙালির প্রেম একেবারে খাঁটি। খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশের ডিম ভাজা— এই যুগলবন্দি সত্যিই অনবদ্য। তবে শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেয় ইলিশের ডিম।
১) ইলিশের ডিমে থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ শরীরে ‘ইকসিনয়ে়ড হরমোন’ তৈরি রুখতে পারে। এই হরমোনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায়। ইলিশের ডিম খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
২) ইলিশের ডিমে রয়েছে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। থাইরয়েডের ঝুঁকি কমায় আয়ো়ডিন। সেলেনিয়াম উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে, যা ক্যানসারের মোকাবিলা করতে পারে। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি রয়েছে ইলিশের ডিমে। যা শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
৩) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অবসাদের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আর ইলিশের ডিমে এই ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন নেয় ইলিশের ডিম।
৪) সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফলে ত্বকের যত্নেও ইলিশের ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ইলিশের ডিম ত্বকের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন ত্বক টানটান এবং নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
৫) ইলিশের ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। অন্য দিকে, প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।