ফুলকপি যেমন স্বাদের খেয়াল রাখে তো বটেই। তবে ফুলকপির পাতাও কম উপকারী নয়। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর ধরে অন্যান্য সব্জির দেখা মিললেও, ফুলকপি কিন্তু শীতকাল ছাড়া প্রকাশ্যে আসে না। শীতকালে বাজার ফিরতি অধিকাংশের ব্যাগ থেকেই উঁকি মারে হৃষ্টপুষ্ট সাদা ফুলকপি। লুচির সঙ্গে আলু-ফুলকপির ডালনা কিংবা ফুলকপি দিয়ে গা মাখা মাছের ঝোল— শীতকালে জনপ্রিয়তার শিখর ছোঁয় এই সব্জি। ফুলকপি যেমন স্বাদের খেয়াল রাখে তো বটেই। তবে ফুলকপির পাতাও কম উপকারী নয়। বেশির ভাগই ফুলকপির পাতা ফেলে দেন। কিন্তু এর গুণ জানলে এমন করার আগে দু’বার ভাববেন।
সন্তানের বেড়ে ওঠায়
ফুলকপির পাতায় রয়েছে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন এবং খনিজ পদার্থ, যা শিশুর বেড়ে ওঠায় সাহায্য করবে। পুষ্টিবিদরা শিশুর বা়ড়ন্ত বয়সে এমন কিছু খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন, যেগুলি তাদের উচ্চতা, ওজন এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ফুলকপির পাতা সেই খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম।
ওজন কমাতে
মেদ ঝরাতে পরিশ্রম কম করেন না কেউই। অথচ হাতের সামনে এমন উপকারী জিনিস থাকতেও, অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দিচ্ছি। ফুলকপির পাতায় রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে চাইলে অতি অবশ্যই রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন এই পাতা। শুধু লেটুস নয়, স্যালাডেও এই পাতা রাখতে পারেন।
ওজন কমাতে চাইলে অতি অবশ্যই রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন ফুলকপির পাতা। ছবি: সংগৃহীত।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
গবেষণা বলছে, ফুলকপির পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি, চোখ সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান করে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন ফুলকপির পাতার উপর। রাতকানা রোগের আশঙ্কা দূর করতে এই পাতা কার্যকর।
হাড়ের যত্নে
শীতকালে হাড়ের বাড়তি খেয়াল রাখার দরকার পড়ে। তাই চিকিৎসকরা ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন। ফুলকপির পাতা হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এমনকি, ঋতুবন্ধের পরেও অনেক শারীরিক সমস্যা এড়াতে খেতে পারেন ফুলকপির পাতা।