গোলমরিচ হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি স্নায়ুর সক্রিয়তা বজায় রাখতেও সমান উপকারী। ফাইল চিত্র।
চিনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭-এর হানায় সে দেশের পরিস্থিতিও বিপর্যস্ত। এ দেশেও করোনার নতুন উপরূপে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। তবে তাঁরা সকলেই এখন সুস্থ। চিনের মতো এ দেশে নতুন করে কোভিড স্ফীতি হবে কি না, তা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। তবে সুরক্ষিত থাকতে ক্ষতি নেই। সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকা জরুরি।
কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় জোর দিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজন পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার আরও একটি নির্ভরযোগ্য জিনিস হতে পারে গোলমরিচ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান-সমৃদ্ধ এই মশলায় রয়েছে করোনার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা।
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত, গোলমরিচে রয়েছে পিপেরিন নামক উপাদান। এটি হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি স্নায়ুর সক্রিয়তা বজায় রাখতেও সমান উপকারী। শীতকাল মানেই সর্দিকাশির প্রকোপ। সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন গোলমরিচের উপর। নিমেষে কমে যাবে ঠান্ডা লাগা।
অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করেন যাঁরা, তাদের জন্য গোলমরিচ খুবই উপকারী। গোলমরিচ খেলে ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমে যায় অনেকটাই। দাঁতে ক্যাভিটি কিংবা ব্যথা থাকলে, মুখে গোলমরিচ রাখতে পারেন। দাঁত ভাল থাকবে গোলমরিচের গুণে।
ঠান্ডা লাগার আরও একটি লক্ষণ হল নাক বন্ধ থাকা। বাড়িতে গোলমরিচ থাকলে এটি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ার কিছু নেই। গরমজলে কয়েকটি গোলমরিচ ফেলে দিয়ে সেই জলে ভাপ নিন।
শীতকালে বাড়ে হাঁপানির সমস্যা। এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ গোলমরিচ এবং দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে খেলে শ্লেষ্মা দূর হবে। গলা ব্যথা কমবে। গোলমরিচ খেলে শরীর গরম হয়ে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন কমতে থাকে। এতে ত্বকও ভাল থাকবে, আবার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।