অসময়ে ঘুমিয়ে পড়া শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকর।
অনেক ক্ষণ একটানা কাজ করতে করতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে আমাদের। এই সময় হাই ওঠা বা চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু ঘুম পেলেই তো আর ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হয় না। বিশেষ করে অসময়ে ঘুমিয়ে পড়া শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকর। কিন্তু ঘুম তাড়াতে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজপাগল মানুষ বারবার চুমুক দেন কফির কাপে। কফি খেলে স্নায়ু টানটান হয় বটে, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে শরীরের উপর পড়ে নেতিবাচক প্রভাব। এর ফলে এমনকি অনিদ্রার মতো ব্যাধিও আমাদের গ্রাস করতে পারে। ফলে শরীরকে চাঙ্গা করতে এবং কাজের সময় ঘুম পাওয়া আটকাতে কফির বিকল্প হিসেবে আমরা বেছে নিতে পারি অন্য খাদ্য বা পানীয়। যথাযথ পরিমাণে শরীরে গেলে যা শরীরের ক্ষতি করবে না কখনও।
আপেল সিডার ভিনিগার
যখন ওজন কমানোর কথা আসে, আপেল সিডার ভিনিগারকে আমরা একটি নিশ্চিত প্রতিকার বলে মনে করি। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, তন্দ্রা দূর করতেও আপেল সিডার ভিনিগার অত্যন্ত কার্যকর। এক গ্লাস জলে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার, এক চামচ মধু এবং তুলসী পাতা যোগ করে পান করলে ঘুমের ভাব উধাও হবে নিমেষের মধ্যেই। আপেল সিডার ভিনিগার আপেলকে গেঁজিয়ে তৈরি করা হয় এবং এটি অ্যাসিটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা দেহের ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘুম-ঘুম ভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আপনি নিশ্চিন্তে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি দিন ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুধু মানুষের স্নায়ু টানটান রাখতে সাহায্য করে তা-ই নয়, এমনকি আপনার হজম প্রক্রিয়া এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতেও বিশেষ সহায়তা করে। এ ছাড়াও, ডার্ক চকোলেটে কম পরিমাণে ক্যাফিন থাকে। এটি মানসিক সতর্কতাকে উদ্দীপিত করে তোলে। এতে থাকে থিওব্রোমাইন যা শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
কফির একটি দুর্দান্ত বিকল্প হিসেবে গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। এবং এটি দেহে কোনও অস্বস্তি সৃষ্টি করে না বরং বিপাককে উন্নত করতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি-তে কম ক্যাফিন রয়েছে এবং এটি আপনাকে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে গ্রিন টি। গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়া দেহের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
হলুদ দেওয়া দুধ
ঘুম-ঘুম ভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আপনি নিশ্চিন্তে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এই ভারতীয় পানীয়টি কেবল কফির বিকল্পই নয়, এটি শরীরকে তাৎক্ষণিক ভাবে শক্তি জোগায়। মধু বা চিনি অথবা গুড়ের সঙ্গে আদা, দারচিনি, হলুদ, দুধ এবং গোলমরিচ দিয়ে বানাতে পারলে খেতেও এই পানীয় সুস্বাদু হবে এবং শরীরে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিপাক প্রক্রিয়া সচল রাখে এবং এর চমৎকার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য খাদ্য থেকে তৈরি হওয়া প্রদাহ রোধ করতে বিশেষ কাজে লাগে।