পৃথিবীর নানা প্রান্তের উপকথায় জোড়া কুসুম নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত রয়েছে।
বাজার থেকে ডিম আনার পর রান্নার সময়ে ডিমের মধ্যে একটির বদলে দু’টি কুসুম দেখতে পেয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকে। কেউ কেউ আবার অনলাইনে ডিম কেনার সময়ে বিশেষ ভাবে জোড়া কুসুম-সহ ডিম অর্ডার দেন। কিন্তু এখনও দু’টি কুসুমের ডিম খেতে অধিকাংশ মানুষ স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। একটি ডিমে দু’টি কুসুম দেখা দেয় যখন, একটি মুরগি একই খোসার মধ্যে দু’টি কুসুম ছেড়ে দেয়। জোড়া কুসুম সাধারণত অল্প বয়স্ক মুরগির ডিমেই পাওয়া যায়। যেহেতু তাদের প্রজনন ক্ষমতা পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি, তারা পর্যায়ক্রমে একটির পরিবর্তে দু’টি কুসুম নিঃসরণ করে। অনেকেই মনে করেন ডিমের দু’টি কুসুম একটি অস্বাভাবিক ঘটনা এবং এটি খেলে স্বাস্থ্যহানি হয়। অথচ এই কথা একেবারেই সত্যি নয়।
জোড়া কুসুম সাধারণত অল্প বয়স্ক মুরগির ডিমেই পাওয়া যায়
পৃথিবীর নানা প্রান্তের উপকথায় জোড়া কুসুম নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত রয়েছে। কিছু লোককাহিনী অনুযায়ী, মানুষ বিশ্বাস করে যে, একটি ডিমের মধ্যে দু’টি কুসুমের দেখা পাওয়া হল সৌভাগ্যের প্রতীক। যদিও নর্স মিথলজি অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে, ডিমের মধ্যে জোড়া কুসুম দেখলে তা প্রিয়জনের মৃত্যুসংবাদ বয়ে আনবে। রোমান লোককাহিনী অনুসারে, যখন এই জাতীয় ডিম দেখা যায় এবং পরিবারে কেউ অন্তঃসত্ত্বা হন, তা যমজ সন্তানের আগমন ঘোষণা করে।
ডিমে রয়েছে ২.৭০ গ্রাম প্রোটিন। চর্বি রয়েছে ৪.৫১ গ্রাম আর ১৮৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। এ সবই নির্দিষ্ট অনুপাতে শরীরে প্রয়োজন। যার জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষ ডিমকে অত্যন্ত দরকারি খাদ্য হিসাবে বিবেচনা করে। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে ডিমের মধ্যে জোড়া কুসুম কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে না। তবে হৃদ্রোগ থাকলে অনেকেই ডিম খেতে চান না। এই কথা জোড়া কুসুমের ডিমের সম্পর্কেও খাটে। কিন্তু তা ছাড়া আপনি যদি একটি ডিম দেখতে পান যার মধ্যে জোড়া কুসুম ভাসছে, তবে সেগুলিকে ফেলে দেবেন না। যদিও এই ধরনের ডিমে সাধারণ ডিমের চেয়ে সাদা অংশ এবং কুসুমের পুষ্টিগুণের অনুপাত আলাদা। তবে তা শরীরের কোনও অংশে আলাদা ভাবে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেবে না, চিকিৎসকরা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।