শুধু গুড়-ছোলা নয়, মেশাতে হবে তিলও! ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে এক সময় গুড়, ছোলা খেয়ে দৌড়তে যেতেন। শরীরে শক্তির জোগান দিতে এই দুই খাবারের জুটির কোনও বিকল্প হয় না। তবে নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা খন্ডেলওয়াল বলছেন, এই খাবার আরও বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে সাদা তিল যোগ করলে। শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা, গুড় এবং তিলের লাড্ডু, চিক্কি বা গজক বানিয়ে রেখেও দেওয়া যায়। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে যখন খুব ক্লান্ত লাগে তখন কাজে লাগতে পারে এই খাবার। তা ছাড়া যাঁদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের জন্যেও এই খাবার বেশ উপকারী। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ এই খাবার তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দেয়। রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের মাত্রা ঠিক রাখে।” তবে যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বেশি পরিমাণে সাদা তিল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গুড়, ছোলা এবং সাদা তিলের মিশ্রণ আর কী কী উপকারে লাগে?
১) গুড়ের মধ্যে রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পটাশিয়াম-ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। তা ছাড়া রক্তে শর্করা বশে রাখতেও গুড় খেতে বলা হয়।
২) ছোলায় আবার প্রোটিনের মাত্রা বেশি। ফোলেট এবং জ়িঙ্কের মতো খনিজ পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার ওঠানামার সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে ছোলা।
৩) স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সাদা তিল হাড়ের জোর বাড়িয়ে তোলে। ত্বক, চুল এবং হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।