ছবি: সংগৃহীত।
ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায়, এই ধারণা এখন অনেকটাই অচল। বরং পুষ্টিবিদেরা দু-এক চামচ ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েই থাকেন। তাতে নাকি আদতে শরীরের ভাল হয়। শুধু তাই নয়, পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ঘি খেলে নাকি ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও ঘি খাওয়া নিয়ে যদি মনের কোণে একটুও দ্বিধা থেকে থাকে, তা হলে ৩ উপকরণ মিশিয়ে নিতে পারেন। তা হলে ঘি খাওয়া নিয়ে কোনও স্বাস্থ্য ভাবনা থাকবে না।
হলুদ
ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে হলুদ এবং ঘি দারুণ উপকারী। হলুদ সব রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ঘি-হলুদের মিশেল। এক কাপ ঘিয়ে ১/২ চা চামচ হলুদ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি শিশিতে রেখে দিন। রোজ খেলে উপকার পাবেন।
তুলসি
বাড়িতেই ঘি তৈরি করেন? ঘি বানানোর সময়ে যে গন্ধ বেরোয়, তা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তাই ঘি তৈরির সময়ে কয়েকটি তুলসিপাতা ছিড়ে মিশিয়ে দিন। এতে শুধু গন্ধই দূর হবে না, ঘিয়ের স্বাদও অন্য রকম হবে। সর্দি-কাশি সারাতে বা প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে তুলসি দারুণ উপকারী।
কর্পূর
হাঁপানির রোগীদের জন্য কর্পূর দারুণ উপকারী। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও সক্ষম কর্পূর। তা ছাড়া ঘিয়ের সঙ্গে কর্পূর মেশানোর প্রথা অনেক যুগ থেকেই চলে আসছে। ঘিয়ে কর্পূর মিশিয়ে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
রসুন
ঘি আর রসুনের মিশেলও দারুণ পছন্দ হবে। রসুন শরীরের সব রকম প্রদাহ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। একটি পাত্র গরম করে তাতে কয়েক টুকরো রসুন দিয়ে ৪-৫ মিনিট নাড়তে থাকুন। তার পর আঁচ বন্ধ করে ঢেকে রেখে দিন কিছু ক্ষণের জন্য।