—ফাইল চিত্র।
প্রবাদ বলছে, নুন খেলে গুণ গাইতে হয়। যদিও প্রচলিত ধারণায় নুনের গুণগান শোনা যায় না মোটেই। বরং কেউ বেশি নুন খেলে তাকে সাবধান করা হয়। হার্ট বা প্রেশারের সমস্যা থাকলেও খাবার থেকে নুন বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নুনকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ যদি নুন খাওয়া বাদ দিয়ে দেন, তবে তার উল্টো প্রভাবও পড়তে পারে শরীরে। বলছেন চিকিৎসকেরাই।
সম্প্রতি হায়দরাবাদের ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক সুধীর কুমার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘একটা প্রচলিত ধারণা হল, নুন অস্বাস্থ্যকর। বহু চিকিৎসকই হাইপারটেনশন এবং হার্টের সমস্যা থাকলে নুন খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলেন। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ যদি দৈনন্দিন খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে রাখেন, তবে তাঁর ইনস্যুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের মাত্রায়। ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।’’
অকারণে নুনের মাত্রায় নিয়্ন্ত্রণ আনলে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়তে দেখা গিয়েছে। এমনকি, মানুষের মস্তিষ্ক, স্নায়ু, এবং পেশি সঞ্চালনের সমস্যাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক কুমার। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সোডিয়াম জরুরি। তা না হলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাঘোরা, খিঁচুনির মতো সমস্যাও হতে পারে।’’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানাচ্ছে, একজন সুস্থ মানুষের দিনে এক চা চামচ বা ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। স্নায়ু চিকিৎসক সুধীর জানাচ্ছেন, বেশি নুন খেলেও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। তাই নুন বেশি খাওয়াও ভাল নয়। তাই নুন খেতে হবে স্বাভাবিক মাত্রায়। তবে হাইপারটেনশনের রোগীদের নিয়মিত নুন খাওয়ার মাত্রা ৫.৮ গ্রামে বেঁধে দিয়েছেন তিনিও।