বিন্যাস যোগ আসলে অনেকগুলি ব্যায়ামের সমষ্টি। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মিটতে না মিটতেই জিমে যেতে মোটেই ভাল লাগে না। শরীরচর্চা করার তাগিদটাই থাকে না। কিন্তু গা, হাত-পায়ের ব্যথা তো উৎসব, অনুষ্ঠান বোঝে না। বরং মরসুম বদলের প্রভাবে তা খানিক বেড়েছে বৈ কমেনি। কোমর নিচু করতে না পারা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটুর ব্যথা— নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেহের নির্দিষ্ট অঙ্গ ভেদে আলাদা আলাদা ব্যায়াম রয়েছে। কিন্তু, হাতে এত সময় নেই। তবে এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই রয়েছে বিন্যাস যোগে। সারা দিনের মধ্যে মাত্র ৩০ মিনিট ব্যয় করলেই ব্যথা নিরাময় হবে।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন এই যোগাসন?
নির্দিষ্ট একটি আসন নয়, বিন্যাস যোগ আসলে অনেকগুলি ব্যায়ামের সমষ্টি। একেবারে হালকা কিছু ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হয় এই বিন্যাস যোগ। একে একে অনেকগুলি আসন একটি প্রবাহের মাধ্যমে যুক্ত হয় এতে। এই আসন অভ্যাস করতে কোনও যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে নির্দিষ্ট কিছু ভঙ্গি রয়েছে, যা নিয়মিত অভ্যাস করতে হয়।
১) ‘চাইল্ড পোজ় উইথ প্রেয়ার হ্যান্ড্স’
একেবারে সদ্যোজাত শিশুরা যেমন বিছানার উপর উল্টে পড়ে থাকে, ঠিক সেই ভাবে শুয়ে পড়ুন।
হাঁটু ভাঁজ করে রাখুন। নিতম্ব রাখুন দুই গোড়ালির মাঝে।
মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। এ বার দুই হাত প্রণামের ভঙ্গিতে জড়ো করে মাথার পিছনে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।
২) ক্যাট কাউ পোজ়
এই আসন দেহের গঠনে ভারসাম্য রক্ষা করে। কাঁধের ব্যথা নিরাময়েও এই আসন বিশেষ ভাবে উপকারী। প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর, এক বার পিঠ ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্তত পক্ষে ৫ মিনিট।
৩) সেলাই করার মতো ভঙ্গি
বিড়ালের মতো ভঙ্গি থেকেই বাঁ হাত উল্টো দিকে বাড়িয়ে দিন। ডান হাত মাথার উপর দিয়ে তুলে মাটিতে রাখুন। কোমর সোজা থাকলেও দেহের উপরের অংশ বেঁকিয়ে এমন ভাবে রাখুন, যেন দেখলে মনে হয়, সেলাই করা হচ্ছে।
৪) ডাউনওয়ার্ড ফেসিং ডগ
প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। তার পর মাটি থেকে কোমর উঁচু করে তুলে ধরুন। পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে রাখুন। মাটির সঙ্গে দেহের অবস্থান এমন ভাবে থাকবে, যেন দেখতে ত্রিভুজের মতো লাগে।
৫) পিরামিড পোজ়
কুকুরের মতো ভঙ্গি থেকেই এক পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
কোমরের পেশি থেকে দেহের উপরিভাগ টেনে মাটি স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন। দুই হাতের মাঝখানে যেন পা থাকে।