ফল খেলে ওজন বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়েট মেনে চলা দরকার। সেই খাবারের তালিকায় স্থান পায় রকমারি ফলও। কারণ, ফল একাধারে যেমন জলের ঘাটতি দূর করতে পারে, তেমনই এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফাইবার সমৃদ্ধ, কম ক্যালোরির ফল ওজন বশে রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কি, সমস্ত ফল ওজন কমায় না। বরং কয়েকটি ফল খেলে ওজন বাড়তেও পারে।
যেমন, আম, কলা, আতা, সবেদা, খেজুরের মতো ফলগুলিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই পরিমিত না খেলে এ থেকে ওজন বেড়েও যেতে পারে।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘আম, কলা ইত্যাদিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি। ফলে মাপমতো না খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।’’
আম
গ্রীষ্মাকালীন এই রসালো ফলটি প্রায় সকলেই ভালবাসেন। ১০০ গ্রাম আম থেকে ৬০ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে শর্করা থাকায় বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। তবে আমেও প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
কলা
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘যে হেতু পাকা কলায় ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, ১০০ গ্রাম কলায় ১১৭-১২০ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়, তাই কলা ওজন বৃদ্ধিতেই সাহায্য করে।’’ তবে এতে পটাশিয়াম, ভিটামিনও থাকে প্রচুর।
আতা
এই ফলটিতেও ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট। ১০০ গ্রাম আতায় ৯৪-৯৫ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। সুতরাং, মেপে না খেলে এই ফলেও ওজন বাড়তে পারে। এই তালিকায় সবেদা, খেজুরের মতো ফলও রয়েছে।
তবে এই ফল খেলেই কি ওজন বৃদ্ধি পাবে?
পুষ্টিবিদের কথায়, যে হেতু এই ফলগুলিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, ক্যালোরি বেশি, তাই যদি মেপে না খাওয়া হয়, ওজন বাড়তেই পারে।কেউ যদি ১০০ গ্রাম আম খান, অসুবিধা হবে না। একই যুক্তি খাটে কলা বা অন্য ফলগুলিতেও। ওজন বশে রাখতে হলে ফল খাওয়া যেমন জরুরি তেমন ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। সাধারণত বেশির ভাগ লোক জলখাবার খেয়ে ফল খান, রুটি-তরকারির সঙ্গে ফল খান। এটাতেই সমস্যা হবে। যিনি ওজন বশে রাখতে চাইছেন তিনি উপকারিতার জন্য এই ফলগুলি খেতেই পারেন, তবে দৈনন্দিন ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে। বরং দু’টির বদলে একটি রুটি আর সব্জি খেয়ে কিছু ক্ষণ পরে একটি ফল খাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু, যিনি ওজন বাড়াতে চান?
তাঁর ক্ষেত্রে দৈনন্দিন খাবারের পরিমাণ কমানোর দরকার নেই। ভাত, রুটির পাশাপাশি ফল খেতেই পারেন তিনি।