‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট কী? ফাইল চিত্র।
বিদ্যা বালনের মতো প্রদাহজনিত অসুখে ভুগেছেন সামান্থা রুথ প্রভুও। পেশির প্রদাহজনিত জটিল অসুখ মায়োসাইটিসে দীর্ঘ দিন ভুগেছেন তিনি। তার পরে আচমকাই ওজন বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট মেনে চলতে বলেছিলেন সামান্থাকে। একই রকম ডায়েট মেনেছেন বিদ্যাও। কী এই ‘অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি’ ডায়েট?
সামান্থা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের কয়েক জন পুষ্টিবিদ তাঁকে এই ধরনের ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পুষ্টিবিদ দেবযানী গুপ্ত এই ডায়েট নিয়ে তাঁর মতামতও দিয়েছেন। দেবযানীর বক্তব্য, সামান্থার শরীর ফুলে গিয়েছিল মেদের জন্য নয়, প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশনের জন্য। এই প্রদাহ ‘অ্যাকিউট’ বা ‘ক্রনিক’ হতে পারে। লাগাতার শরীরে জীবাণু সংক্রমণ, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, হজম প্রক্রিয়ায় গোলমাল, শরীরে টক্সিন জমে গেলে বা প্রচণ্ড উদ্বেগ, মানসিক চাপ থেকেও প্রদাহ হতে পারে। ‘ক্রনিক’ প্রদাহ হলে ইনসুলিনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটে বদলে যায় এবং কোষে জমা হতে থাকে। হজমের গোলমালও দেখা দেয়। তাই এই সময়ে এমন ডায়েট মেনে চলতে হবে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে।
কী কী খেতে হয় এই ডায়েটে?
প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার খেতে হবে। যেমন, চিয়া বীজ, তিল, তিসি বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদাম। সবুজ শাকসব্জি ও ফল খেতে হবে বেশি করে।
পেশির প্রদাহ কমাতে এমন খাবার খেতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি ই ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের আধিক্য আছে, যেমন বেরি জাতীয় ফল, গাজর, কমলালেবু, মুসাম্বি।
রাগি, ওট্স, কিনোয়ার মতো দানাশস্যও রাখতে হবে ডায়েটে। সাদা ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খেলে ভাল।
লিন প্রোটিন আছে এমন খাবার খাওয়া ভাল। রেড মিট একেবারেই চলবে না। চিকেন, টার্কি, পনির, টোফু খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে খেতে হবে বিভিন্ন রকম বাদাম।
রান্নায় বা চা-কফিতে চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। যে কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। কাঁচ হলুদ, আদা দিয়ে বানানো ডিটক্স পানীয় নিয়মিত খেতে হবে।