ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা বশে রাখতে ৫ খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। ছবি: ফ্রিপিক।
হাতে, পায়ে ব্যথা। আঙুল মুড়তে গেলেই টনটনিয়ে ওঠা। বয়স বেশি হলে, বাতের ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কম বয়সেও! ইদানীং ৩০ পেরোতে না পেরোতেই অনেকে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হল, গাঁটে গাঁটে ব্যথা। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে পাঁঠার মাংসের মতো কিছু খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই তালিকায় থাকে কয়েকটি সব্জিও। তবে বাদ নয়, সংযোজনের তালিকায় রাখতে পারেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ড্রাই ফ্রুটস।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই। কাঠবাদামের খোসাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। নিয়মিত কয়েকটি কাঠবাদাম খেলে শুধু শরীর ভাল থাকবে না, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শুকনো চেরি
শুকনো চেরিও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এতে পিউরিনের পরিমাণ বেশ কম। পাশাপাশি, এতে থাকে অ্যান্থোসিয়ানিন নামে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা শরীর ভাল রাখে। চেরিতে থাকা ফাইবার শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বার করতে সাহায্য করে।
খেজুর
আয়রন, কপার, ভিটামিন বি৬-সহ একাধিক ভিটামিন এবং খনিজে পরিপূর্ণ খেজুর। গাউট বা গেঁটে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকর এই ফল।
পেস্তা
ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ পেস্তা ইউরিক অ্যাসিডের জন্য হওয়া শারীরিক কষ্ট কমাতে সাহায্য করে। ফলে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ২-৩টি পেস্তা রাখলেও উপকার মিলবে।
কাজুবাদাম
কাজুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো পুষ্টিগুণ। ইউরিক অ্যাসিডের বিরুদ্ধে লড়তে এই বাদামও খেতে পারেন।