হলুদ মিশ্রিত পানীয় খেলে কী লাভ ? ছবি: সংগৃহীত।
রান্নাঘরের মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হলুদের গুণের শেষ নেই। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান। হলুদের 'ম্যাজিক উপাদান' অবশ্য কারকিউমিন। তবে, শুধু মশলা নয়, হলুদ ব্যবহৃত হয় ঔষধি হিসাবেও। বিপাকহার বৃদ্ধিতে, ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে হলুদ। যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। পাশাপাশি, হলুদ রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।
কারকিউমিনের কার্যকারিতা
কারকিউমিন পিত্তরসের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই রস ফ্যাট হজমে সাহায্য করে ও হজমে সহায়ক উৎসেচক নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। কারকিউমিন প্রদাহনাশক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কারকিউমিনের ভূমিকা রয়েছে। বিপাকহার বৃদ্ধি করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে হলুদে থাকা উপাদানটি।
অনেকেই শরীর সুস্থ রাখতে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান। তা যদি খেতে পছন্দ না করেন, তা হলে হলুদ মিশিয়ে রকমারি পানীয়ে চুমুক দেওয়া যায়। এতে শরীরে যেমন জলও যাবে, তেমনই হলুদের পাশাপাশি অন্য উপকরণের পুষ্টিগুণও যুক্ত হবে।
হলুদ ও দারচিনির পানীয়
১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আধ চা-চামচ দারচিনির গুঁড়ো এক কাপ গরম জলে গুলে খেলে শরীর ভাল থাকবে। হলুদ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অন্য দিকে, দারচিনিও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজমে সহায়তা করে। এই পানীয়ে শুধু যে ওজন বশে থাকবে তা-ই নয়, শরীরও সুস্থ থাকবে।
ডাবের জল ও হলুদ
গরমের দিনে ডাবের জল খেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এতে থাকে জরুরি খনিজও। এক কাপ ডাবের জলের সঙ্গে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ১ চা-চামচ চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। এই বিশেষ পানীয়ে শরীর আর্দ্র থাকবে, বিপাকহার বৃদ্ধি পাবে।
হলুদ চা
১ কাপ গ্রিন টি-এর সঙ্গে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আধখানা পাতিলেবুর রস চিপে খেতে পারেন। গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। পাশাপাশি, তা ওজন কমাতেও সহায়ক। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধকারী। এর সঙ্গে হলুদের গুণ যুক্ত হলে শরীরও ভাল থাকবে।