সুস্থ থাকতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খান ৩ লাল ফল। ছবি: সংগৃহীত।
কম বয়সে হার্টের অসুখ, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আছে। সে কারণেই চিকিৎসকেরা পরমার্শ দিচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বদলের। নিয়মিত শরীরচর্চা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার। সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যেমন শাকসব্জি রাখা প্রয়োজন, তেমনই খাওয়া দরকার ফল। হার্ট এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বেছে নিতে পারেন তিন লাল ফল।
স্ট্রবেরি: ফলটিতে ভিটামিন এ, সি, বি এর পাশাপাশি রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ ফলটি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিশেষ কার্যকর। এতে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রক্তনালির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বা বলা চলে ভাসকুলার হেল্থ ভাল রাখতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি। একই সঙ্গে এতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ফল খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকার পাশাপাশি, রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বেদানা: এই ফলে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা রক্তপ্রবাহে সাহায্য করে। প্রতি কোষে অক্সিজেনের জোগান পর্যাপ্ত রাখতেও এই উপাদান কার্যকরী। পলিফেনল, ধমনীতে ‘প্লাক’ জমতে বাধা দেয়। এই প্লাকই রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি পলিফেনল রক্তচাপ কমাতেও সহায়ক। ফলে হার্ট এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ফলটিও ডায়েটে জুড়তে পারেন। বেদানায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
আপেল: লাল আপেল বেশি দেখা গেলেও, সবুজ বা সোনালি বর্ণের আপেলও হয়। আপেলে থাকে পেকটিন এবং পলিফেনলসের মতো উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপেলে রয়েছে ডায়েটরি ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। ফাইবার হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট ভাল রাখতেও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলা হয়।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। যে কোনও ফলেরই গুণ থাকে। তবে কোনও ফলই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। শারীরিক কোনও সমস্যা বা অসুখ থাকলে, কোন ফল বেছে নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।