শনিবার রাতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা মুত্যমের মৃত্যু হয়। ছবি: সংগৃহীত।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা— এই তিন বদভ্যাস ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল বছর ১৯-এর তরুণের। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার নির্মল জেলার পর্দি গ্রামে। বিয়েবাড়িতে তরুণের মৃত্যুর ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়া মাত্র ঘুম উড়েছে অনেকের।
শনিবার রাতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা মুত্যম আত্মীয়ের বিয়ের আসরে নাচানাচি করছিলেন। ভাবতেও পারেননি যে, মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দক্ষিণের জনপ্রিয় নাচের তালে নেচে সকলের মনোরঞ্জন করছিলেন যুবক। নাচতে নাচতে হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। বিপদের আশঙ্কা করে তাঁকে ওঠানোর চেষ্টা করেও লাভ না হওয়ায় নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
১৮ থেকে ৬০— সব বয়সিদেরই কাবু করছে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক বা সাইলেন্ট অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এসএএমআই)। কেকে, সিদ্ধার্থ শুক্ল, সিদ্ধার্থ সূর্যবংশীর, রাজু শ্রীবাস্তবের উদাহরণ মৃত্যুভীতি তৈরি করছে অল্পবয়সিদের মনে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা ধূমপান করেন, কিংবা যাঁদের ডায়াবিটিসের মতো রোগ রয়েছে, তাঁদের সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এই প্রকার হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীর বুকে তীব্র যন্ত্রণা হয় না, বড়জোর এমনটা হলে রোগী অচৈতন্য হয়ে পড়েন। হার্ট অ্যাটাকের মূল উপসর্গ ব্যথা, আর এ ক্ষেত্রে কোনও রকম ব্যথা হয় না, তাই একে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’ বলা হয়।