মাইগ্রেন থাকলে ৫ ভুল ভুলেও নয়। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝেমাঝে মাথায় প্রবল যন্ত্রণা। এমন উপসর্গ বেশির ভাগ সময়ই আমরা সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে উপেক্ষা করি। কিন্তু, ওষুধ খেয়ে কমাতে চাইলেও তা কমে না। যত ক্ষণ না ঘুমোচ্ছেন, তত ক্ষণ মাথার এক ধার থেকে চোখ, ঘাড় পর্যন্ত ক্রমশই নামতে থাকে ব্যথা। এই ধরনের ব্যথা হলে বুঝতে হবে, আপনার মাইগ্রেন অ্যাটাক হয়েছে। যা কিন্তু সাধারণ মাথাব্যথা নয়। এখানে মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে জুড়ে থাকে বমি বমি ভাব। মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।
ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমন ধারণা ভুল। বরং আমাদের রোজকার অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে, এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। নিজের কোনও ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসের জেরে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ঘুমে অনিয়ম: ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতেই হবে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমোন। দিনের পর দিন রাত জাগলে, ঘুম কম হলে কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়বে। রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় দেখা কিংবা মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসে রাশ টানুন।
চিনি: চিনি আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের যান্ত্রণাও বাড়তে পারে।
খালি পেটে থাকা: নির্দিষ্ট সময় অন্তর টুকটাক স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে থাকুন। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানোর থেকে মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো: একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ? মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে জল দিয়ে আসুন, বসার আসন থেকে উঠে ঘুরে আসুন।
শরীরে জলের ঘাটতি: গরমের দিনে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন হয়। এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। তাই বাইরে বেরোলেই সঙ্গে জল রাখুন। জল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানীয়, যেমন ডাবের জল, টাটকা ফলের রস, ছাতুর শরবত খেতে পারেন। তবে সোডাযুক্ত নরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।