ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খলনায়কের ভূমিকা পালন করে আসছে কার্বোহাইড্রেট। ছবি- সংগৃহীত
যাঁরা শরীর নিয়ে সচেতন, রুটিন মেনে খাওয়াদাওয়া করেন তাঁরা সকলেই। ‘কার্বোহাইড্রেট’ শব্দটির সঙ্গেও পরিচিত। কটা দিন বাইরে খাওয়া হল কি না হল, ফোনে ক্যালোরি মাপার অ্যাপ্লিকেশন খুলে বসে পড়লেন। আর কিছু না হোক, বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম-বেশি সকলের মনেই আছে। অর্থাৎ, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে কার্বোহাইড্রেট খলনায়কের ভূমিকা পালন করে আসছে। যদিও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য অবশ্যই উপকারী। তাই বলে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারগুলি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, এমন কিছু খাবারে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি, যা শরীরের উপকারও করে।
পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্ত্বেও পাঁচটি খাবার খুবই স্বাস্থ্যকর। রইল তার তালিকা।
১) কিনুয়া
কিনুয়া এক ধরনের পুষ্টিকর বীজ। যা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিনুয়াতে রয়েছে ৭০ শতাংশ কার্বহাইড্রেট। উপরন্তু, এতে কোনও গ্লুটেন নেই। তাই এটি গমের একটি বিকল্প হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে।
২) ওট্স
ভিটামিন, বিভিন্ন খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের একটি দুর্দান্ত উত্স হল ওট্স। এক কাপ কাঁচা ওট্সে ৭০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ওট্স খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়।
গমের একটি বিকল্প হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে কিনুয়া। ছবি- সংগৃহীত
৩) কলা
একটি পাকা কলায় প্রায় ৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়াও, কলায় আছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) মিষ্টি আলু
আধ কাপ মিষ্টি আলুতে প্রায় ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের ভাণ্ডার হল মিষ্টি আলু।
৫) বিট
এক কাপ বিটে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিভিন্ন খনিজ ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বিট রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে।