প্রতীকী চিত্র
শৈশব থেকেই গুরুতর হিমোফিলিয়ার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন রায়পুরের বাসিন্দা, ১৮ বছরের হিতেশ সানওয়ারিয়া। মৃত্যুর আগে সম্প্রতি অঙ্গদানের মতো মহৎ এক ইচ্ছে প্রকাশ করেন পরিবারের কাছে। ফাফাদি চকের কুমহারপাড়ার এই তরুণের মৃত্যুর দু’বছর আগে ধরা পড়ে তিনি হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত।
এমন কঠিন রোগের সম্মুখীন হয়েও উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন হিতেশ। প্রবল উৎসাহের সঙ্গে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হাতে যে সময় নেই, জানা ছিল না। তাই জীবনটাকে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এগোচ্ছিলেন।
এরই মধ্যে এক দিন খবরের কাগজ পড়তে পড়তে অঙ্গদান সম্পর্কে একটি খবর হিতেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কৌতূহলী হয়ে বড় বোনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাই শুধু নয়, অঙ্গদান নিয়ে নিজের আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন।
হিতেশের কাকিমা, চিকিৎসক মিতালী খোডিয়া জানান, ‘অঙ্গ দান মহাদান’ আখ্যা দিয়ে মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গ দান করার বিষয়টিতে জোর দিয়েছিলেন হিতেশ।
হিতেশের রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করলে শেষ দিনগুলিতে প্রবল মাথার যন্ত্রণা-সহ তাঁকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS) রায়পুরে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে কিছু দিন চিকিৎসার পরে ওই তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হিতেশের বড় বোন তখন ভাইয়ের অঙ্গদানের ইচ্ছার কথা চিকিৎসকদের জানান।
উৎসবের মরসুমে অঙ্গ ও টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের ডাক্তাররা ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও, হিতেশের কথা জানতে পেরে অবিলম্বে অঙ্গদান প্রক্রিয়া শুরু করতে ফিরে আসেন তাঁরা। এর জন্যে ইউরোলজি, কিডনি এবং চক্ষুবিদ্যা বিভাগের বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। গভীর রাত পর্যন্ত হিতেশের দু’টি কিডনি, দু’টি কর্নিয়া এবং এক টুকরো চামড়া সফল ভাবে অপসারণ করে তা নিরাপদে সংরক্ষণ করেছেন তাঁরা। এই অত্যাবশ্যক অঙ্গগুলি অঙ্গ দানের প্রয়োজনীয়তা আছে এমন ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছিলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিৎসকেরা।
অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV