প্রতীকী চিত্র
মুম্বইয়ের মুলুন্দে বসবাসকারী ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হঠাৎই এক দিন সিঁড়ি থেকে নীচে পড়ে যান। মুলুন্দের ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর। ২৬ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির গত শুক্রবার মস্তিষ্কের মৃত্যু অর্থাৎ ব্রেন ডেথ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এমন আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিবার শোকে দিশাহারা হয়ে পড়লেও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে সেই মুহূর্তেই অঙ্গ দানে রাজি হন। মৃতের কিডনি ও লিভার দান করেন তাঁরা। এই অঙ্গদান তিন জন মুমূর্ষু রোগীকে নতুন ভাবে জীবন দিয়েছে। ওই ব্যক্তি নিজে অঙ্গদানের এক জন উদ্যোক্তা ছিলেন। তাঁর ব্রেন ডেথের পরে স্ত্রী এবং দুই ছেলে বাবার এই অঙ্গদানে সম্মতি জানান।
এই অঙ্গদানের হাত ধরে এ বছর অঙ্গদাতার সংখ্যা ৪৪-এ পৌঁছেছে। গত বছর, প্রাক-কোভিড ২০১৯-এর সময়ের অঙ্গদানের সংখ্যা ছিল ৭৬টি। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অঙ্গদানের সংখ্যা হয়েছে ৪৭। জোনাল ট্রান্সপ্লান্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (ZTCC) সভাপতি চিকিৎসক এস কে মাথুর বলেছন, “২৫ নভেম্বর থেকে এই শহরে পাঁচটি অঙ্গদান হয়েছে। এই অঙ্গদান সেই সকল রোগীদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, যাঁরা অঙ্গ বিকল হওয়ার জেরে জটিল অসুস্থতায় ভুগছেন। এই অঙ্গদান নিয়ে আরও অনেক কিছু করা দরকার। সকল চিকিৎসকদেরও উচিত অঙ্গদান নিয়ে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।’’
মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটে যাওয়া ওই ব্যক্তির লিভার সাতারার ফলটন এলাকার বাসিন্দা ৬৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আগে থেকেই ফর্টিস হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য নাম নথিভুক্ত করে রেখেছিলেন। ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির কিডনিটি ওই একই হাসপাতালে থানের বাসিন্দা এক ৩৯ বছর বয়সী যুবককে দান করা হয়েছে। দ্বিতীয় কিডনিটি মুম্বইয়ের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের জন্যে পূর্ব নির্ধারিত হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছিল।
অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV