Indepence Day

Samudrayaan mission: সমুদ্রের অতল গভীরে অজানা খোঁজে ভারত

যদি ভারত সফল হয়, তা হলে ঐতিহাসিক তালিকায় ঢুকে পড়বে ভারতও!

Advertisement

সংগৃহীত প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২২ ০৬:৪৩
Share:

সমুদ্রের অতল সন্ধানে, প্রতীকী ছবি

ভারত মহাকাশ ছুঁয়েছে বহুদিন আগেই। এবার লক্ষ্য অন্য এক জগতে পাড়ি দেওয়ার। অতল সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে এবার নতুন অভিযানে নামছে ভারত। সমুদ্রের তলায় প্রায় ৬০০০ মিটার গভীরে পাড়ি দেবে মানুষ। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালনের পূর্বে এমন পরিকল্পনা আরও এক নতুন পালক যোগ করল ভারতের মুকুটে।

Advertisement

পৃথিবীর তিন ভাগ জল এবং এক ভাগ স্থল। অর্থাৎ পৃথিবীর সিংহভাগই রয়েছে জলের অতলে। অথচ সেই সমুদ্রের অধিকাংশই এখনও মানুষের অজানা। অঙ্ক অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৭৫১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রয়েছে। এমন একটি দেশে সমুদ্র নিয়ে গবেষণা স্বভাবতই নতুন এক পর্যায়ে নিয়ে যাবে ভারতকে।

জানা গিয়েছে, সমুদ্রের অতলে মানুষকে যে যানটি নিয়ে যাবে, তার নাম ‘মৎস্য ৬০০০’। দেখতে অনেকটা সাবমেরিনের মতো। এর আগে রাশিয়া, জাপান, আমেরিকা, চিন ও ফ্রান্স এই ধরনের অভিযান চালিয়েছে। যদি ভারত সফল হয়, তা হলে ঐতিহাসিক তালিকায় ঢুকে পড়বে ভারতও!

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক স্তরে ৩ জনকে নিয়ে সমুদ্রের গভীরে পাড়ি দেবে যানটি। পাশাপাশি, এই ধরনের অভিযান প্রযুক্তিগত দিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘মৎস ৬০০০’ নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবল পরিমাণে চাপও বৃদ্ধি হয়। চাপ এতটাই থাকে যে ধাতুর মোটা পাতও দুমড়ে-মুচড়ে যেতে পারে। এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেই তৈরি করা হয়েছে এই ‘মৎস ৬০০০’কে। সূত্রের খবর, একটানা ১২ ঘণ্টা জলের তলায় থাকতে পারবে এই যান।

কেন্দ্রীয় ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজে শুরু করে দিয়েছেন ইসরো, আইআইটি মাদ্রাজ এবং ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে এই সমুদ্রাভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। গবেষণার প্রথম ধাপের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থও।

এই প্রতিবেদনটি সংগৃহীত এবং ‘সাধের স্বাধীনতা’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement