রানং দেহি

সরস্বতী যদি রান আর উইকেটের দেবী হতেন! এ ভাবেই প্রার্থনা করত যিশু-দেবের বিপন্ন বেঙ্গল টাইগার্স। ডাগ আউটে বসে তাঁদের আরও একটা হার দেখে লিখছেন ইন্দ্রনীল রায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share:

ছবি: ইন্দ্রনীল রায়

সন্ধ্যা ৬-৪০। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বেঙ্গালুরুর বাইরে তখন থিক থিক করছে ভিড়।

Advertisement

টয়েটো ইনোভার স্টার্ট বন্ধ প্রায় দশ মিনিট। কোনও মতেই আধ ঘণ্টা আগে ট্র্যাফিক কমার চান্স নেই। কিন্তু তা বললে চলবে কী করে? হিরো সাইকেল বেঙ্গল টাইগার্স টিমের সব চেয়ে বড় স্টার দেব তো ইনোভায় বসে। তা হলে?

‘চলো হাঁটি’, সায়ন্তিকাকে বললেন দেব।

Advertisement

ফ্লাইট চার ঘণ্টা লেট হওয়ার জন্য তখন গাড়িতে বসেই মেক আপ করছেন সায়ন্তিকা। লিপ গ্লস ব্যাগে পুরে রাস্তায় নেমে পড়লেন তাঁরা। সঙ্গে টিমের ম্যানেজার অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়।

তিনজনই রাস্তায় দৌড়োচ্ছেন। মেন গেটের কাছে পৌঁছে পুলিশকে বলে অবশেষে খেলা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে চিন্নাস্বামী পৌঁছলেন দেব।

‘প্লেয়ারস ওনলি’ গেট দিয়ে কিট নিয়ে ঢুকলেন ভেতরে। সিঁড়ির ধারে সারি সারি ছবি। এক দিকে ব্র্যাডম্যান, এক দিকে বিশ্বনাথ। এক দিকে কুম্বলে, এক দিকে দ্রাবিড়। এক দিকে সৌরভ, সর্বত্র তেন্ডুলকর। মাঠে তখন টিম হাডলে ব্যস্ত অধিনায়ক যিশু সেনগুপ্ত। ছুটতে ছুটতে গিয়ে দেব সামিল হলেন হাডলে। শুরু হল খেলা।

খেলা না ছেলেখেলা

আসলে খেলা বললে হয়তো পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে একটু বাড়াবাড়ি হবে। ছেলেখেলা বলাই ভাল।

গত বছর কটকে এই টিমেরই খেলা দেখার অ্যাসাইনমেন্ট পড়েছিল। সেই থেকে বুঝেছি এই অ্যাসাইনমেন্ট এলেই মনে হয়, উফফ্ কী যে লিখব। সেই তো টিম হারবে, সেই তো কিছু অভিনেতা তাঁদের পরের ছবির কভারেজ কী করে করা যায় সেটা লং অনের ধারে ফিল্ডিং করতে করতে জানতে চাইবে পরিচিত সাংবাদিকের কাছে। গত রোববার বিকেলেও কিন্তু তারই পুনরাবৃত্তি হল। কিন্তু খারাপ লাগার মাত্রাটা দেখলাম আরও বেড়েছে। কারণ গত এক বছরেও কোনও কিছুরই বদল হয়নি।

হারার পর ড্রেসিং রুমে সেই একই রকম ধ্যাড়ানো অভিনেতা কাম প্লেয়ারদের হাসাহাসি চলছে, আলোচনা হচ্ছে প্রিয়ঙ্কা ত্রিবেদী (যিনি ‘সাথী’ ছবিতে নায়িকা ছিলেন, এখন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা)র ওজন নিয়ে। তিন-চার জন ছাড়া কারও মুখে হেরে যাওয়ার লেশমাত্র চিহ্ন নেই।

চলছে দেদার সিগারেট খাওয়া। যে ড্রেসিং রুমে পন্টিং, হেডলি, ইনজামাম, গিলক্রিস্টরা এক সময় বসেছেন (বেঙ্গল টাইগার্স অ্যাওয়ে ড্রেসিং রুম পেয়েছিল) সেই ড্রেসিং রুমের প্রতি বিন্দুমাত্র কোনও সম্মান নেই দেখলাম কয়েকজন প্লেয়ারের। তাঁদের মেক আপ রুম কী স্টুডিয়ো ফ্লোরে ক্রিকেটাররা এই রকম করলে তাঁরা নিশ্চয়ই খুশি হতেন না!

এমনিতে গত চার বছর সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে একটাই ম্যাচ জিতেছে বেঙ্গল টাইগার্স। আগের তিনটে টুর্নামেন্টে প্রতি ম্যাচের জন্য এক-একজন প্লেয়ার লাখ টাকার কাছাকাছি পেয়েছেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে রঞ্জি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক (ম্যাচ প্রতি ৮০ হাজার টাকা) থেকেও তাঁদের উপার্জন বেশি। যদিও শোনা যাচ্ছে এ বছর নাকি বিভিন্ন গ্রেডের জন্য আলাদা আলাদা পারিশ্রমিক করা হচ্ছে যা আগের তুলনায় একটু কম।

কিন্তু তাও বাকি সব টিম যখন ক্রমশ এগোচ্ছে, তখন মাঠে বেঙ্গল টাইগার্স (এবং সঙ্গে অবশ্যই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির)-এর ক্রমাগত অপমান নিয়ে সবাই বিরক্ত। দর্শক থেকে কমেন্টেটর থেকে টিমের মালিক বনি কপূর।

আমি ধৈর্য ধরেই আছি

‘‘প্রত্যেক বছরে ভাবি নতুন করে ঝাঁপাবে হিরো সাইকেল বেঙ্গল টাইগার্স। আমি মানুষ হিসেবে খুব আশাবাদী কিন্তু মাঝে মধ্যে সত্যি খারাপ লাগে। দেখি এরা কবে জেতা শুরু করে, আমি তো ধৈর্য ধরে বসেই আছি,’’ মাঠের ধারে সে দিন খেলা দেখতে দেখতে বলছিলেন বনি কপূর। কিন্তু এই যে শোনা যায় আপনি টিম নিয়ে এতটাই বিরক্ত যে এ বছর টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে একবারও কলকাতায় আসেননি। কথাটা ঠিক?

‘‘না না সেটা ঠিক নয়। আমি আমার ছবি ‘তেভর’য়ের প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর আমি কলকাতায় গেলে কি কোনও লাভ হবে? কেউ যদি বলে লাভ হবে তা হলে এক মাসের ওপরে গিয়ে থাকতে পারি। কিন্তু আমি তো আর মাঠে খেলব না,’’ গলায় স্পষ্ট হতাশা বনি কপূরের।

অন্য দিকে শোনা যায় তাঁর স্ত্রী শ্রীদেবী প্রথম দিকে বেঙ্গল টাইগার্স নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। নিয়মিত মাঠেও আসতেন। কিন্তু ক্রমশ এমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তাঁর টিম-এর অবস্থা তিনি মাঠে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

শ্রীদেবীর না আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু মানুষের বেঙ্গল টাইগার্স টিম থেকে রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে থাকছে নানা প্রশ্ন।

দীপ দাশগুপ্ত গত তিন বছর এই টিমের কোচ। কিন্তু এ বছর তিন দিন প্র্যাকটিসে আসা ছাড়া কোনও ম্যাচেই তাঁকে দেখা যায়নি টিমের সঙ্গে। এ নিয়ে টিমের ভিতরেও রয়েছে গভীর অসন্তোষ।

এ ছাড়াও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই টিমের মেন্টর। কিন্তু এ বছর তাঁকেও দেখা যায়নি টিমের সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে গৌতম ঘোষের পরের ছবির শ্যুটিং যা ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল (এখন কিছুদিন পিছিয়ে গিয়েছে), তার জন্যই নাকি এ বছর তিনি বেঙ্গল টাইগার্সের সঙ্গে থাকতে পারেননি।

এ সব কথাবার্তার মধ্যেও অবশ্য শ্রীদেবীর বেটার হাফের খারাপ লাগার আরও একটি বড় কারণ আছে। টিম হোটেল থেকে ক্রিকেট কিট, যাতাযাতের সুবিধা থেকে প্লেয়ারদের নানা আবদার—সব কিছুই তিনি মেনে নিয়েছেন হাসি মুখে। তাও কেন বছরের পর বছর এই ভরাডুবি?

টিমে প্যাসেঞ্জার ভর্তি

মুখে কেউ না বললেও ঘরোয়া আলোচনায় সবাই স্বীকার করছেন এই বেঙ্গল টাইগার্স টিম ‘প্যাসেঞ্জার’-এ ভর্তি। কিন্তু প্রথম বছর থেকে যাঁরা খেলছেন তাঁদের বাদ দেওয়া যাচ্ছে না কারণ দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ। (টি-আই-এন-এ) এই ‘টিনা’ ফ্যাক্টরের জন্যই বছরের পর বছর টিমে খেলে চলেছেন বাংলা সিনেমাতে ভিলেনের অভিনয় করা রাজা এবং কিছু ফিল্মে অভিনয় করা অমিতাভ। শুধু তাই নয়। গত বছর থেকে দেখছি ড্রেসিং রুম থেকে হোটেল, সর্বত্র ফাস্ট বোলার রাজাকে নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। অধিকাংশ সময়ই তিনি শিব ঠাকুরের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন, অথবা চুপচাপ। হোটেল থেকে চেক আউট করার সময় নিজের স্যুটকেসটাই এ বার তিনি বেঙ্গালুরুতে ফেলে চলে এসেছিলেন, এতটাই তাঁর ‘কনসেনট্রেশন।’ অন্য দিকে উইকেট কিপিং করতে নামার আগে ড্রেসিং রুমের আয়নার সামনে অমিতাভের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে গোটা টিম। ম্যাচে ক্যাচ ফেলার কথা না হয় নাই লিখলাম।

রোজ রোজ হারতে কি ভাল লাগে

কিন্তু এঁরা ছাড়া কি কোনও প্লেয়ার নেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে?

‘‘থাকলে প্লিজ জানান, আমি গিয়ে কথা বলব। ধুর! রোজ রোজ হারতে আমার কী দেবের ভাল লাগে নাকি? আমাদের কিছু কিছু প্লেয়ার শুধুই নেটের রাজা। কিন্তু মাঠে তারা কিছুতেই খেলতে পারে না। প্রত্যেক বছর ক্যাপ্টেন হিসেবে হারাটা খুব ফ্রাসট্রেটিং। টিম-এ কুড়ি ওভার খেলার মতো ফিটনেস আছে সেই রকম প্লেয়ার চাই। আর চাই এমন প্লেয়ার যাদের বড় মাঠে খেলার টেম্পারামেন্ট আছে,’’ ফেরার পথে ফ্লাইটে বলছিলেন যিশু।

কিন্তু কাছ থেকে দেখে যা বুঝলাম যিশু, দেব, দেবরাজ, জয়, রাহুল (যদিও তিনি বেঙ্গালুরু যাননি, কিন্তু হারার পর ফোনে হতাশা শুনলাম), স্যান্ডি (হাত ফেটে গেলেও সেলাই করেননি পরের ম্যাচ খেলতে হবে বলে) আর ইন্দ্রাশিস ছাড়া কেউই বিশেষ সিরিয়াস নন টিম নিয়ে। আর সিরিয়াস দেখলাম সহকারী কোচ সুশীল শিখারিয়াকে। এত ভরাডুবির মধ্যেও জানলাম নিজের পয়সায় প্লেয়ারদের জন্য তিনি বেঙ্গালুরুতে টুপি কিনেছেন। নানা ভাবে সাহায্য করছেন প্লেয়ারদের। দেবও তাঁর গুণমুগ্ধ ফ্যান।

দেবের ফ্যান যিশুও। সময়ের অভাবে প্র্যাকটিসে কম এসেছেন দেব, কিন্তু টিমম্যান হিসেবে যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার, মেনে নিচ্ছেন অধিনায়কও।

‘‘ওর মতো স্টার মাঠে কোনও ট্যানট্রাম করে না। ভীষণ ভাল টিমম্যান। আর ও এত বড় স্টার, ওকে দেখতেই বেঙ্গালুরুতে এত বাঙালি আমাদের সাপোর্ট করেছে,’’ বলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন একটাই, জিতবে কবে এই টিম?

লক্ষ্মী কী মনোজকে দিয়ে স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স করাতে হবে

এ বছর থেকে সব ক’টা সিসিএল টিমকে ভাগ করা হয়েছে দুটি স্তর-এ। গ্রেড এ আর গ্রেড বি।

গ্রেড এ-র ক্রাইটেরিয়া হল তিনটে ছবিতে হিরোর রোলে অভিনয় করতে হবে সেই প্লেয়ারকে। আর গ্রেড বি-র ক্রাইটেরিয়া অন্তত সাতটা ফিচার ফিল্মে দশ মিনিটের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। তবেই খেলার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।

সেই সুবাদেই প্রত্যেক বছর সব অভিনেতার অভিনয় করা ফুটেজ পাঠাতে হয় সিসিএল স্ক্রিনিং কমিটিকে। কিন্তু লজ্জার বিষয়, এ বছর বেঙ্গল টাইগার্স টিম থেকে সাত জন প্লেয়ার বাদ গেছেন কারণ তাঁরা কোনও ফিল্মে দশ মিনিটও অভিনয় করেননি। করেছেন টিভিতে।

‘‘আমরা টেলিভিশনে কাজ করছে এমন কয়েকজনের ফুটেজ পাঠিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ওরা বুঝতে পারবে না, আমরা পার পেয়ে যাব। কিন্তু স্ক্রিনিং কমিটি তা রিজেক্ট করে দিয়েছে। এ ছাড়াও আজকাল সবার নামে গুগুলে সার্চ করে তারা। সেখানে তো সত্যিটা বেরিয়ে যায়। আমরা ধরা পড়ে গেলাম,’’ হাসতে হাসতে বলছিলেন টিমের এক সদস্য।

তিনি হাসলেও টিমে বাকিরা কিন্তু অন্য টিমগুলোর দিকেও আঙুল তুলতে ছাড়ছেন না।

‘‘আমরা হিরো সাইকেল বেঙ্গল টাইগার্স তো তাও অভিনেতাদের দিয়ে খেলাচ্ছি। বাকিরা তো ফুল ফ্লেজেড ক্রিকেটারদের সিনেমায় দশ মিনিট-এর রোল দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিচ্ছে। ব্যাট ধরা দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা ক্রিকেটার। তাদের সামনে আমাদের কী চান্স? আমরা সৎ থাকার মাশুল দিচ্ছি। আমরা তো আবেদন করছি টালিগঞ্জের প্রোডিউসারদের, মনোজ তিওয়ারি কী লক্ষ্মীকে স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্সে চান্স দিন কিছু কিছু ছবিতে। তা হলে দেখবেন কর্নাটক, মুম্বইয়ের সঙ্গে আমরাও কী রকম জিতি,’’ ব্রেকফাস্ট টেবিলে বলছিলেন যিশু।

একই কথা বলছেন দেব-ও।

‘‘আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন আমি কতটা কম্পিটিটিভ। হারতে আমি ঘৃণা করি। কিন্তু এখানে তো লড়াইটা সৎ পথে হচ্ছে না। বাকি টিমগুলো প্রোফেশনাল প্লেয়ার খেলাচ্ছে। আমরা কী করব বলুন? কিন্তু তাও আমি বেঙ্গল টাইগার্সের পাশে থাকতে চাই। শুধু হারছি বলে পালিয়ে যাব, এটা করতে পারব না,’’ ম্যাচের পরের দিন বলছিলেন দেব।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে সঙ্গিন মেনে নিচ্ছেন সবাই। যিশু, রাহুল, দেবের খারাপ লাগলেও অনেকের কাছেই পুরো টুর্নামেন্টটা শনি-রবিবার ভারতের বিভিন্ন শহরের পিকনিকে রূপান্তরিত হয়েছে। এবং দৃশ্যের কোনও অদল বদল নেই। হারার পর সেই ড্রেসিং রুমে মুখ চুন করে বসে আছেন যিশু, কিছু প্লেয়ার এবং তাঁর স্ত্রী নীলাঞ্জনা তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

এবং সব চেয়ে দুঃখের, মাঠে টিম হারলেও বেঙ্গল টাইগার্সের কিছু ‘প্লেয়ারের’ আলোচনা রাতে পার্টিতে কি হুইস্কি পাওয়া যাবে অথবা কোন কোন নায়িকা আসবে তা নিয়ে। মজা, ফুর্তি চলতেই পারে, কিন্তু যেখানে বাংলা আর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সম্মান জড়িয়ে সেখানে তাঁরা খেলা নিয়ে আর একটু সিরিয়াস হলেই মঙ্গল।

না হলে এই প্রহসন থেকে অদূর ভবিষ্যতেও শাপমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement