রাজাকে হারিয়ে রানি

‘কুইন’ তাঁকে যে-সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছে, সেটা একদা ছিল কোনও এক বিদ্যা বালনের। বলিউড সংসারের নতুন সম্রাজ্ঞী কি কঙ্গনা রানাওত? লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।‘কুইন’ তাঁকে যে-সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছে, সেটা একদা ছিল কোনও এক বিদ্যা বালনের। বলিউড সংসারের নতুন সম্রাজ্ঞী কি কঙ্গনা রানাওত? লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ১৪:৪৪
Share:

দীপিকা পাড়ুকোন নাকি কঙ্গনা রানাওতকে হিংসে করেন!

Advertisement

হ্যা। ঠিক শুনেছেন। ‘কুইন’ দেখার পর এমনটাই বলেছিলেন ২০১৩র সব থেকে সফল হিন্দি ছবির নায়িকা। মুম্বইয়ের এক পুরস্কার অনুষ্ঠানে তো মিডিয়ার সামনে বলেই ফেললেন দীপিকা, “‘কুইন’য়ে কঙ্গনার পারফর্ম্যান্স দেখে আমার ওকে হিংসে হচ্ছে। এক কথায় অসাধারণ। মনে হয় এটা একটা অসম্ভব সুন্দর ছবি। যদি কোনও নারী কোনও সম্পর্কের মধ্যে গিয়ে থাকেন...তা হলে তিনিই বুঝবেন কী সুন্দর ভাবে পরিচালক ছবির নায়িকার আবেগ আর অনুভূতিকে এঁকেছেন। ‘কুইন’ বহু দিন বাদে আমার দেখা সেরা ছবি।”

এক দিকে দীপিকার এই মন্তব্য, তো অন্য দিকে কর্ণ জোহর টুইটারে বলছেন ‘‘কঙ্গনার অভিনয় ওর নিজেরই প্রতিভার সীমা ছাপিয়ে গিয়েছে!” অন্য তারকাদের মতো সচরাচর টুইটারে যে আমির খানকে প্রশংসা করতে দেখা যায় না, তিনিও টুইট করছেন, “যে কোনও মেয়ের দেখার মতো ছবি। প্রত্যেক মেয়েরই এ ছবি দেখা উচিত। বিকাশ ভেল আর ওঁর ইউনিটকে ধন্যবাদ দিই ছবিটা বানানোর জন্য। অ্যান্ড কঙ্গনা!!!! ইউ রক!!!”

Advertisement

‘কুইন’ দেখে অমিতাভ বচ্চন নিজে হাতে লিখে চিঠি পাঠিয়েছেন কঙ্গনাকে। তাতে লেখা ছিল, “ক্যামেরাকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা সব অভিনেতারই কাম্য। একমাত্র তুমিই সেটা করতে পেরেছ। তাই ‘কুইন’ সবার থেকে এত আলাদা।” সে চিঠি পড়ে কঙ্গনা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।

আম জনতা থেকে তারকাসকলের মুখে ছবির প্রশংসা নিশ্চয় বক্স অফিসেও প্রভাব ফেলবে। তবে তার সঙ্গে আরও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। বলিউড তারকা-দৌড়ে কি এবার নতুন কোনও মক্ষিরানির অভিষেক হবে? প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কইফ, বিদ্যা বালন, করিনা কপূরকে পেছনে ফেলে রেখে বলিউডের পাটরানি হয়ে রাজত্ব করার লক্ষ্যে কি এগিয়ে চলেছেন এ বার কঙ্গনা রানাওত?

মক্ষিরানি হবেন কি না, বলতে না পারলেও পরিচালক রাকেশ রোশন বলেছেন যে কঙ্গনা ধীরে ধীরে সাফল্যের চূড়ায় উঠছেন। কঙ্গনাকে তিনি পরিচালনা করেছিলেন ‘কৃষ থ্রি’তে। অনুরাগ বসুর ‘কাইটস’ ছবির প্রযোজক হিসেবেও রাকেশ কঙ্গনার কাজ দেখে. বলছেন, “কঙ্গনার সঙ্গে কারও তুলনা করতে চাই না। তবে এটা ঠিক, ও বলিউডের টপ হিরোইনদের একজন হওয়ার ক্ষমতা রাখে। খুব প্রতিভাময়ী। মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করে। সব সময় ওর মধ্যে একটা কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা দেখি।”

‘ওহ লমহে’র পরিচালক মোহিত সুরি বলছেন, প্রথম থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কঙ্গনা একদিন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যেই জায়গা করে নেবেন। ‘কুইন’ সম্পর্কে শুনেছেন মোহিত। মরিশাসে শু্যটিংয়ে ছিলেন বলে ছবিটা এখনও দেখা হয়নি। “আমার স্ত্রী উদিতা ওর সব বন্ধুকে নিয়ে ছবিটা দেখতে যাবে। মেয়েদের মধ্যে এক অদ্ভুত উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে এই ছবি,” বলছেন মোহিত।

‘ওহ লমহে’, ‘গ্যাংস্টার’ আর ‘লাইফ ইন আ...মেট্রো’তে অভিনয় করার পরে কঙ্গনাকে অবসাদে ভোগা মদ্যপ মহিলার চরিত্রে দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন অনেক দর্শকই। তবে সেই স্টেজটা কঙ্গনা পেরিয়ে এসেছেন। ‘কুইন’ ছবিতে যথেষ্ট সুযোগ ছিল আবার তাঁকে মদ্যপ, অবসন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে বলার। কিন্তু এমনটা হয়নি। “আর সেটার কৃতিত্ব পুরোটাই দেওয়া উচিত ছবির পরিচালককে। কঙ্গনার ওপর ভরসা রেখে ওকে দিয়ে এমন একটা চরিত্রে কাজ করানোর সাহস দেখিয়েছেন বিকাশ। আর তার ফল হল আজকে অনেকেই কঙ্গনাকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলতে আরম্ভ করেছেন। মূলধারার বলিউডি ছবি যে মহিলাকেন্দ্রিক হতে পারে সেটা কঙ্গনা আবারও প্রমাণ করল,” বলছেন মোহিত।

আরও বলছেন, অনেকেই ভাবেন যে অবসাদগ্রস্ত চরিত্র করে দর্শককে ছুঁতে পারাটাই হয়তো ভাল অভিনয়ের সংজ্ঞা। “কিন্তু আমার মনে হয় যে ওটা না করে দর্শকের মন জয় করাটাও বেশ শক্ত। সেখানেই কঙ্গনার সার্থকতা। বড় অভিনেত্রী হলে সে এই দু’-ধরনের চরিত্র সমান ভাল ভাবে করতে পারবে,” বলছেন মোহিত। মধুর ভান্ডরকরের সঙ্গে ‘ফ্যাশন’য়ে কাজ করেছিলেন কঙ্গনা। ‘কুইন’ দেখে মধুর অভিভূত। বলছেন, “ওই ছবিতে ওর অভিনয়ের মধ্যে কোনও ত্রুটি খুঁজে পাইনি। অনেকের ধারণা ছিল যে, কঙ্গনা বোধ হয় শুধুমাত্র দুঃখী চরিত্রেই ভাল অভিনয় করতে পারে। কিন্তু সেই সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছে কঙ্গনা। ‘ফ্যাশন’য়ে ওর কী দারুণ অভিনয়!” সে জন্য তো জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন কঙ্গনা। “এখন নিজের জন্য একটা অন্য জায়গা ও তৈরি করে নিয়েছে,” বলছেন মধুর।

অন্য জায়গাতে আসতে গিয়ে তাঁর আর এখন কোনও খান বা বাদশার দরকার হয় না। শুধু দরকার হয় একটা ভাল চিত্রনাট্য। ‘কুইন’য়ের পর মুক্তি পাবে তাঁর অভিনীত আরও একটি নারীকেন্দ্রিক ছবি। নাম ‘রিভলভার রানি’। দেখতে সুন্দরী তো বটেই, তার সঙ্গে আবার নিজের কাঁধে গোটা ছবির ভার তুলে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন কঙ্গনা।

‘রাজনীতি’ ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটা ছবিতেই ক্যাটরিনা কইফ থেকেছেন গ্ল্যামডল হয়েই। ‘বরফি’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছেন ঠিকই। তার পরে ছবি করলেও সেগুলোর অভিনয় বা বাণিজ্যিক সাফল্য নিয়ে কোনও চর্চা তেমন হয়নি। ‘জঞ্জীর ২’ থেকে ‘গুন্ডে’ কোনওটাই দারুণ সফল ছবি নয়। মেরি কম-য়ের জীবনভিত্তিক ছবিটাকে ঘিরে প্রিয়ঙ্কার অনেক আশা রয়েছে। ‘জব উই মেট’, ‘থ্রি ইডিয়টস’ এবং ‘হিরোইন’-য়ের মতো সিনেমা করলেও ইদানীং কালে করিনা কপূর খানও সাঙ্ঘাতিক সাফল্য পাননি। মূলধারার নারীকেন্দ্রিক ছবিতে বিদ্যা বালন ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু ‘শাদি কে সাইড এফেক্টস’ তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। তার সঙ্গে আবার শুরু হয় তাঁর প্রেগন্যান্সি নিয়ে গুজব। এমনটাও বলা হচ্ছে যে সুজয় ঘোষের পরবর্তী ছবিতে নাকি তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে কঙ্গনাকেই কাস্ট করা হবে!


স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়


রাইমা সেন


পাওলি

‘কুইন’য়ে এক নতুন কঙ্গনাকে দেখলাম। মূলধারার বলিউড
ছবিতে মহিলাকেন্দ্রিক রোল এর আগে বিদ্যা করেছে। দীপিকা
স্টারদের সঙ্গেই কাজ করেছে। ওর সঙ্গে তুলনা হয় না। বলা
যেতেই পারে কঙ্গনা এখন নিজেরই প্রতিদ্বন্দ্বী।

‘কুইন’ দেখিনি। তবে কঙ্গনাকে সব ছবিতে ভাল
লেগেছে। ‘হাইওয়ে’তে আলিয়া দুর্দান্ত। দু’জনের
বয়স কম। ট্যালেন্টেড। সব ধরনের
চরিত্র করতে পারবে

নাম্বার দেওয়াতে বিশ্বাসী নই। ‘কুইন’য়ে কঙ্গনার
অভিনয় ভাল। পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে
অভিনেত্রী হিসেবে ওর প্রশংসা
পাওয়া ভাল লাগছে


মধুর ভাণ্ডারকর


মোহিত সুরি

কঙ্গনাকে দেখেছি ‘কৃষ থ্রি’তে অভিনয় করতে।
ওর সঙ্গে কারও তুলনা করতে চাই না। তবে
বলিউডের টপ হিরোইনদের তালিকায় নাম
লেখানোর ক্ষমতা রাখে ও।

‘কুইন’ দেখে টুইট করেছিলাম।
কঙ্গনার অভিনয়ে এক ফোঁটা
খুঁত পাইনি। ও অনেক দূর যাবে।

‘ওহ লমহে’র সময় থেকেই কঙ্গনা
প্রতিভাময়ী।মাঝে ওর ব্যক্তিগত
জীবন নিয়ে চর্চা হত। এখন
তা থেমেছে।


আনন্দ এল রাই
ব্যক্তিগত জীবনেও কঙ্গনার একটা উত্তরণ ঘটেছে। সহজে কোনও কিছুতেই ও আর বিচলিত হয় না।

‘হাইওয়ে’ করার পর আলিয়া ভট্টর মধ্যেও অনেক সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। শাবানা আজমির মতো অভিনেত্রীও আলিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে আলিয়া সবেমাত্র কেরিয়ারের তিন নম্বর ছবি (‘টু স্টেটস’)-র শু্যটিং করছেন। বাকি থাকলেন অনুষ্কা শর্মা। এত দিন পর্যন্ত বিনোদনমূলক ছবি করেছেন অনুষ্কা। অনুরাগ কশ্যপের ‘বম্বে ভেলভেট’-য়ের পরে হয়তো বোঝা যাবে যে অনুষ্কা অন্য ধাঁচের সিনেমায় কতটা সফল। ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’ আর ‘হসি তো ফঁসি’-তেও পরিণীতি চোপড়া মন্দ নন। দেখতে সুন্দর। তবে যশরাজ ব্যানারের বাইরে গিয়ে নারীকেন্দ্রিক ছবি করে সাফল্যের পরেই পরিণীতির আসল লিটমাস টেস্ট হবে।

‘কুইন’-য়ের পর কঙ্গনার যদি কেউ প্রতিযোগী থেকে থাকেন, তিনি হলেন দীপিকা। এবং এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে তুলনা করাটাও বেশ স্বাভাবিক বলে মনে করছেন ‘তনু ওয়েডস মনু’ ছবির পরিচালক আনন্দ এল রাই। জুন মাস থেকে ‘তনু ওয়েডস মনু’-র সিক্যুয়েলের জন্য আবার কঙ্গনাকে নিয়েই আনন্দ শু্যট করবেন। সে ছবিতে কঙ্গনার ডাবল রোল। একটা নাকি গ্ল্যামারাস, আর অন্যটা একদম সাদামাঠা। হয়তো বা গজদাঁতও থাকতে পারে কঙ্গনার! আনন্দের মতে, “দীপিকা আর কঙ্গনা, দু’জনেই খুব পরিশ্রমী অভিনেত্রী। ডেডিকেটেড এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আর দু’জনেই নিজেদের জায়গায় বেশ সিকিওর্ড আর আত্মবিশ্বাসী। দুই অভিনেত্রী কিন্তু নতুন ধরনের কাজ বেছে নিয়ে নিজেদের চ্যালেঞ্জ করতে পছন্দ করেন।” আনন্দের মতে কঙ্গনার সুবিধা হল ওঁর মধ্যবিত্ত ব্যাকগ্রাউন্ড। “জীবনকে এত কাছ থেকে দেখেছে কঙ্গনা যে, ও বেশ গ্রাউন্ডেড। মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ রয়েছে ওর মধ্যে। কঙ্গনা আম জনতার পছন্দটা ভাল বোঝে। তবে ওর যেটা অসুবিধা (যদিও সেটা আবার সুবিধাও বলা যেতে পারে) তা হল ও কোনও তারকা-শিবিরে নেই,” বলছেন আনন্দ।

যদিও দীপিকা সেই ‘ওম শান্তি ওম’ থেকেই তারকাদের নিয়েই ছবি করে এসেছেন, কঙ্গনা কিন্তু সে পথে হাঁটেননি। “এ ব্যাপারটা অনেকেই কঙ্গনার অ্যাডভান্টেজ হিসেবেই দেখছেন। আমি আবার অন্য কথা ভাবছি। একজন তারকার পাশে নিজের জায়গাটা ধরে রাখাও কম কথা নয়। ‘ওম শান্তি ওম’য়ে শাহরুখের বিপরীতে দীপিকা যে রকম অভিনয় করেছিলেন, তার থেকে ওঁর অনেকটাই উত্তরণ ঘটেছে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’য়ে। সহজ কথা নয় ওই ধরনের একটা ছবিতে অভিনয়ের প্রশংসা পাওয়া,” বলছেন মোহিত।

তবে কঙ্গনার আরও একটা সুবিধা হল, তিনি আজকাল নাকি মানসিক ভাবেও অনেকটা পাল্টেছেন। দু’-তিন বছর আগে পর্যন্ত কঙ্গনার ব্যক্তিগত জীবনের খবর থাকত শিরোনামে। কিন্তু ব্যক্তিগত কেচ্ছা নিয়ে আর কোনও লেখাই বেরোয় না কঙ্গনাকে ঘিরে। মোহিত বিশ্বাস করেন না, কঙ্গনার জীবনে কোনও পুরুষ আসেনি। কিন্তু ও সব নিয়ে আর কোনও কথা মিডিয়াতে আসে না। “একটা সময় হয়তো ছিল, যখন কঙ্গনা খুব তাড়াতাড়ি অনেক কিছু পেতে চেয়েছিল। এখন ও অনেক বেশি শান্ত। ডিস্ট্র্যাকশন নেই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আওয়াজ তৈরি হয় না। মানুষ হিসেবে ওর ম্যাচিওরিটি বেড়েছে। তাই নিজেকে বেশি ভাল হ্যান্ডেল করছে ও,” বলছেন মোহিত।

এই উত্তরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন আনন্দ-ও। “কঙ্গনার সঙ্গে আজকাল কথা বললে মনে হয় যে, ও এই নম্বর গেমের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। ভাল অভিনেত্রী। উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিশ্চয়ই আছে। ওর একটা সার্বিক উত্তরণ ঘটেছে। নিজের ভুল বুঝতে পারে। এক মুহূর্তে হয়তো দেখলেন ভীষণ বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করছে। আবার পরের মুহূর্তে দেখবেন গভীর কিছু কথা বলছে। দেখে বেশ আশ্চর্য লাগে,” বলছেন তিনি।

তবে স্টারডমের দিক দিয়ে দেখতে গেলে কঙ্গনাকে এখনও বেশ কিছুটা পথ পেরোতে হবে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ কোমল নাহাতা বলছেন, “অভিনেত্রী হিসেবে কঙ্গনা দারুণ ভাল। শুধু ‘কুইন’ নয়। এর আগেও প্রত্যেকটা ছবিতে ওর অভিনয় ভাল লেগেছে। তা সে ‘গ্যাংস্টার’ হোক বা ‘তনু ওয়েডস্ মনু’। একমাত্র দীপিকাকে বলতে পারি যে অভিনয়ের দিক থেকে ওর কাছাকাছি আছে মূলধারার বলিউড ছবিতে।”

কিন্তু বলিউডের নম্বর দৌড়ে শুধু অভিনয়ের জোরই শেষ কথা নয়। সেখানে বক্স অফিসের সাফল্য খুব জরুরি। কোমলের অনুমান, “কঙ্গনার ‘কুইন’ বড় জোর ৫০ কোটির ব্যবসা করবে। সেখানে দীপিকার পর পর ছবি ২০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেছে। এই ধরনের ছবিতে দীপিকাকে আবারও হয়তো কাস্ট করা হবে।.সে কথা মনে রাখলে ওকে এখনই বলিউডের পয়লা নম্বর হিরোইন বলাটা আগেভাগে মন্তব্য করা হয়ে যাবে।”

কঙ্গনার ‘রিভলভার রানি’, ‘তনু ওয়েডস্ মনু ২’ হয়তো সমীকরণগুলো পাল্টে দেবে। তবে ভুললে চলবে না যে, তত দিন স্ক্রিন জুড়ে এসে যাবে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ‘মেরি কঙ্গনা এখন হতে চান স্বয়ংসম্পূর্ণা। হতে চান ফিল্ম দুনিয়ার অন্য রানি। যিনি হয়তো বলিউডের নায়িকা-দৌড়ে না নেমেও মাস্তানি করতে পারবেন নিজের মতো করেই।

সেয়ানে-সেয়ানে


কঙ্গনা রানাওত


দীপিকা পাড়ুকোন

কেন

‘কুইন’য়ে অসাধারণ অভিনয়

বক্স অফিসে সাফল্য, অভিনয়েরও প্রশংসা

বয়স

২৬

২৮

জন্ম

হিমাচলপ্রদেশ

কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক

সুবিধা

দেখতে ভাল, বয়স কম,
অভিনয় জানেন, ভাগ্যও সহায়

দেখতে ভাল, অভিনয় জানেন,
তারকা-শিবিরে থাকার খুঁটির জোর

অসুবিধা

কোনও তারকা-শিবিরে নেই

নারীকেন্দ্রিক কোনও মূলধারার ছবিই করেননি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement