অরূপং দেহি
ববিং দেহি
পার্থং দেহি
দেবাশিসাং দেহি
পুজোর বাকি আর মাত্র ২৭ দিন কিন্তু শহরের নানা হোর্ডিংয়ে এখনও ওপরের স্লোগানগুলো আপনি দেখতে পাবেন না। যদিও এ বারের কলকাতার পুজোর সবচেয়ে বড় থিম এটাই।
উপরে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সবাই তৃণমূলের মন্ত্রী অথবা শাসকদলের কাছের মানুষ।
চুপচাপ পুজোয় ছাপ।
এবং এখানেই বিশ্বফুটবলের সঙ্গে কলকাতার পুজোর এত মিল।
বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় যেমন ব্রাজিলের ফুটবলার বল বাড়ান আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে তেমনই তৃণমূলের জার্সি গায়ে অরূপ, ববি বা পার্থ কেউ লেফ্ট উইং, কেউ রাইট উইং, কেউ মিডফিল্ডার।
কিন্তু যেই এঁরা দেশের হয়ে (পড়ুন নিজেদের ক্লাবের) মাঠে নামেন দুর্গাপুজো সংগঠক হিসেবে, তখনই শুরু হয় মারমার-কাটাকাট প্রতিযোগিতা।
খবর সাপ্লাই করছে আইসক্রিমওয়ালা এমনিতে পুজোর একমাস আগে থেকেই আবাসন ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সঙ্ঘ বা শিক্ষা ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ-র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেড-প্লাসের থেকে কিছু কম থাকে। পুরো মাঠ ঘিরে ফেলা হয়েছে, আশেপাশের বাড়ির বারান্দাতে কে এসে দাঁড়াচ্ছে তা-ও ‘মনিটরিং’ করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতা যখন এতটাই তীব্র তখন শত্রু শিবিরের খবর আনা হবে না তা কী করে হয়? এবং এখানেই শুরু এমন সব খেলা, যা থ্রিলার ছবিকেও হার মানাবে।
এই পুজোগুলোর সঙ্গে যুক্ত ভিতরকার নানা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল খবর আনার প্রথম স্তরে রয়েছেন পাড়ার ফেরিওয়ালা, বাসন বিক্রিওয়ালা বা আইসক্রিমওয়ালা।
ক্লাব বুঝিয়েসুঝিয়ে তাঁদের অন্য পাড়াতে পাঠান। “আইসক্রিমওয়ালাকে বলে দেওয়া হয়, প্যান্ডেলের ভিতরকার রংটা কেমন হচ্ছে সেটা জেনে আসতে। কখনও বাসনওয়ালাকে বলা হয় গেটটা কেমন, সেটা দেখে এসো। আর এখন তো সবার কাছেই মোবাইল, তারা আমাদের জন্য ছবিও তুলে দেয়। আর ওরা ছবি তুললে সচরাচর তেমন লোকের চোখে পড়ে না,” বলছেন এই পুজোগুলোর সঙ্গে জড়িত এক ক্লাবকর্তা।
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ-র সেই হোর্ডিং
এবং শুধু ফেরিওয়ালা নন, খবর চালাচালি করেন হোর্ডিং লাগানোর দায়িত্বে থাকা এজেন্সির কর্মিবৃন্দও।
শোনা যায় এ বছর তৃণমূল নেতাদের পুজোর প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়েছে যে, তাঁদের লেটেস্ট টার্গেট এই প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা।
“সিকিউরিটি গার্ডদের শুধু টাকাপয়সা নয়, দু’মাসের মাইনে, তাঁদের পরিবারের জন্য জামাকাপড় সব কিছুরই লোভ দেখাই আমরা। আমাদের শুধু একটাই লক্ষ্য। মানুষ যেন আমাদের পুজোকে কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজো বলে,” বলছেন ক্লাবকর্তা রথীন ঘোষাল (নাম পরিবর্তিত)।
পোস্টার যুদ্ধ তৃণমূল নেতাদের এই পুজোগুলোর প্রতিযোগিতা এখানেই থেমে নেই। গত এক মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ কলকাতার প্রায় সর্বত্র টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে ‘কোনও লড়াই নেই আমরা এক নম্বরই’ লেখা হোর্ডিংয়ে ছেয়ে ফেলেছে শহর।
সুরুচি সঙ্ঘ-এর জবাব
এর জবাবে অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সঙ্ঘ-র সামনে সে দিন একটা পোস্টার চোখে পড়ল।
তাতে লেখা ‘নিজে যারে বড় বলে বড় সে-ই নয়/ লোকে যারে বড় বলে বড় সে-ই হয়।’
যদিও মুখে কেউই স্বীকার করছেন না। কিন্তু ও-ই যে কথায় আছে, ‘সমঝদারো কে লিয়ে ইশারাহি কাফি হ্যায়।’
অন্য দিকে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘর সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত স্পষ্ট ভাবেই জানাচ্ছেন কেন তাঁরা এক নম্বর এবং বাকিরা নন।
“একমাত্র নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘর পুজোর দুর্গাপ্রতিমাই কিন্তু ইকো পার্কে সংরক্ষিত আছে। ২০১১-র পেতল-মেহগনির মূর্তি এবং গত বছরের পাথরের প্রতিমা। এতেই তো স্পষ্ট হয়ে যায় কেন আমরা এক নম্বর,” বলছেন বাপ্পাদিত্য।
বাপ্পাদিত্যর কথা শুনে হেসে ফেলেন সুরুচি সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ বিশ্বাস।
“আমরা নিষ্ঠাভরে পুজো করি। পঞ্জিকাতে তো সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমীর পর বিসর্জন হয়। প্রতিমা সংরক্ষিত মানে সেই ঠাকুরের বিসর্জন হয় না। যে পুজোর ঠাকুরের বিসর্জন হয় না, সেটা কীসের পুজো? আর কলকাতা শহরে থিম সং প্রথম করি আমরা, আউটডোর হোর্ডিংয়ে ফার্স্ট, মোবাইল হোর্ডিং প্রথম করি, খুঁটিপুজো কুড়ি বছর আগে করি আমরাই। তার পর শুরু হল সুরুচি শাড়ি কিন্তু এ সব করেও আমাদের হোর্ডিং দিতে হয় না। সাধারণ মানুষই বলে দেয় এক নম্বর,” বলছেন স্বরূপ বিশ্বাস।
এত প্রতিযোগিতার মধ্যেও এই দুই ক্লাবই কিন্তু একটা জায়গায় অনড়। কিছুতেই তাঁদের এবারের পুজোর থিম তাঁরা বলবেন না।
“এটা বললে তো হয়েই গেল। দেখুন না, আর তো মাত্র ক’দিন। কলকাতা শহর এমন জিনিস আগে দেখেনি,”. বলছেন স্বরূপ বিশ্বাস। একই কথা শোনা যাচ্ছে নাকতলার উদয়ন সঙ্ঘের উদ্যোক্তাদের মধ্যে।
শুধু এইটুকুই জানা যাচ্ছে নাকতলার উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর পুরো পরিকল্পনা করেছেন ভবতোষ সুতার। এবং আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন দীনেশ পোদ্দার। অন্য দিকে সুরুচির পুরো পুজোর পরিকল্পনা করছেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলোর দায়িত্বে রয়েছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। কিন্তু এর বাইরে এই দুই পুজোর সঙ্গে জড়িত সবাই স্পিকটি নট।
আমাদের পুজোর সঙ্গে কারও কম্পিটিশন নেই দুই ক্লাবকর্তার কথার মেজাজ দেখেই যখন বোঝা যাচ্ছে কম্পিটিশনটা কোন স্তরের তখন ত্রিধারা সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস কুমার (মেয়র পারিষদ- পার্ক ও উদ্যান) কিন্তু সাফ জানাচ্ছেন, তিনি এবং তাঁর পুজো এই কম্পিটিশনে থাকতে চান না।
দক্ষিণ কলকাতার নামী পুজো ত্রিধারা সম্মিলনীতে এ বার থাকছে হাজার হাজার মুখোশ দিয়ে তৈরি প্যান্ডেল। “আমরা অত রাখঢাক-গুড়গুড় করি না। আমাদের পুজোর থিম এ বারে ‘মাস্ক’, সেটা জানাতেও আমাদের কোনও অসুবিধে নেই। গৌরাঙ্গ কুলিয়ার তত্ত্বাবধানে তৈরি হাজার হাজার মুখোশ আমাদের পুজোর ইনোভেশন। আর আমরা আমাদের পুজো নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে কোনও পুজোর সঙ্গে কম্পিটিশনে যেতেই চাই না। বিশ্বাসও করি না কোনও কম্পিটিশনে। এবং পুজোকে কেন্দ্র করে যে পর্যটন করা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ভাবনাকেই আমরা সার্থক রূপ দিতে চাই,” বলছেন দেবাশিসবাবু।
অন্য দিকে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম নিজের পুজো নিয়েও অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী।
“আমি, অরূপ বা পার্থদা কী দেবাশিস কারও পুজোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা চাই না। আমি শুধু চাই আমাদের পাড়াতে বহু মানুষ আসুক ঠাকুর দেখতে। একটা সময় চেতলা মানে কালীপুজো ছিল। তার পর পাড়ার লোকেরা বলল এই ধারণাটা বদলাতে হবে। সেই থেকেই আমাদের এই পুজো। আর আমি ওই ক্লাবের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে জড়িত। আজও কাজের শেষে ওই ক্লাবে আমাকে পাবেন। পার্থদা যেমন মন্ত্রী হওয়ার পর ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমার ক্ষেত্রে সেটা নয়। ক্লাবটা আমার প্যাশন। এবং সেই প্যাশন দিয়েই আমরা পুজোটা করি,” মঙ্গলবার সকালে বলছিলেন ববি হাকিম।
ওঁর কাছ থেকেই জানা গেল, এই পুজোকে কেন্দ্র করে কী ভাবে পর্যটন আরও বাড়ানো যায় নজর আছে সেই দিকেও। “দেখুন, আমাদের দুর্গাপুজার চেয়ে অনেক ছোট রিও ফেস্টিভাল। কিন্তু ওরা প্যাকেজিংটা এমন করে যে মনে হয় কী বিরাট ব্যাপার। আমার মনে হয় দুর্গাপুজোর চেয়ে বড় উত্সব সারা পৃথিবীতে নেই। সেটা ঘিরে কী ভাবে পর্যটন আরও প্রসারিত করা যায় সেটাও ভেবে দেখছি,” বলছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।
একই কথা সুরুচির অরূপ বিশ্বাসেরও। “আমরা ১৪ বছর নানা রাজ্যকে তুলে ধরেছি আমাদের পুজোয়। সেই রাজ্যের সংস্কৃতি, তাদের আচারআচরণ আমরা বাংলার বুকে বাংলার মানুষকে দেখাতে পেরেছি। এই সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনটাই পর্যটনের মূলমন্ত্র। সেটা সুরুচি আজকে থেকে নয়, ২০০১ সাল থেকে করছে,” বলছেন অরূপ।
চেতলা অগ্রণী সঙ্ঘের মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সনাতন দিন্দা
ত্রিধারা সম্মিলনীর প্যান্ডেলের কাঠামো
গত বছরের মতো এ বারও ববি হাকিমের চেতলা অগ্রণী সঙ্ঘের পুজোর দায়িত্বে সনাতন দিন্দা। নতুনত্ব হিসেবে থাকছে প্রায় ২০০০ মই নিয়ে করা নানা রকম ইনস্টলেশন আর্ট।
সকাল থেকে রাত অবধি চলছে কাজ। এর মধ্যেই সনাতন বললেন, “গত বছর ববিদা বলেছিলেন, ‘সনাতন, আমি প্যান্ডেলে মানুষের ঢল চাই’।”
কিন্তু এত কাজের মধ্যে দু’কিলোমিটার দূরে সুরুচি সঙ্ঘ, কী আর একটু দূরে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে কী হচ্ছে তার খেয়ালও কি রাখেন সনাতন? “দেখুন, কে কী করছে তা তো একটুআধটু খবর রাখতেই পারি। কিন্তু আমরা শিল্পীরা কোনও কম্পিটিশন নিয়ে কাজ করি না,” বক্তব্য সনাতনের।
সনাতন স্বীকার না-করলেও কম্পিটিশন যে কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা এই পুজোর এক্সক্লুসিভ শর্ত দেখলেই বোঝা যায়।
কম্পিটিশন না-থাকলে মজা কোথায় সুরুচি সঙ্ঘ-র পুজোর লাইটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন প্রেমেন্দুবিকাশ চাকি। এই পুজোয় তিনি আছেন বলে আর অন্য তিন নেতার পুজোর কাজ তিনি করছেন না। “একটা এক্সক্লুসিভিটি তো পুজোগুলো চাইবেই। কিন্তু আমরা শিল্পী। যেখানেই কাজ করব, সেটা যাতে সেরা হয় তার চেষ্টা করি। তবে হ্যাঁ, কম্পিটিশন থাকে ম্যাসিভ। অষ্টমীর দিন ভোরবেলায় যতক্ষণ না কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজোর রেজাল্ট বেরোচ্ছে, ততক্ষণ অসম্ভব প্রেশারে থাকতে হয় আমাদের,” বলছেন প্রেমেন্দুবিকাশ। এত রাখঢাক-গুড়গুড়ের মধ্যে একমাত্র একজনই রয়েছেন যিনি দুই তৃণমূল নেতার পুজোর সঙ্গে জড়িত। তিনি সঙ্গীতজ্ঞ রাশিদ খান। তিনি একই সঙ্গে উদয়ন এবং ত্রিধারার থিম সং করছেন।
“নাকতলাতে বোধহয় ভূমি-র সুরজিত্ আর সৌমিত্র রয়েছে।
আমার পুজোর থিম সং একা রাশিদ খানই করছেন,” বলছেন দেবাশিস কুমার।
অন্য দিকে সুরুচির থিম সং প্রতি বছরের মতো এ বারও করছেন জিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। মুম্বই থেকে জানালেন, “এ বারের থিম সংয়ে একটা বড় চমক থাকবে।”
কিন্তু মুম্বইতে বসে তিনি কি খবর রাখছেন বাকিরা কী করবেন?
“না, সেই রকম খবর এখনও রাখছি না। আমি শুধু চাই আমি যে কাজটা করছি সেটা যেন মানুষের অন্য বছরগুলোর মতোই ভাল লাগে, কম্পিটিশন হিসেবে এটা না-দেখলেই ভাল,” বলছেন জিত্। অন্য দিকে চেতলা অগ্রণী সঙ্ঘের থিম সং-য়ে সুর দিচ্ছেন সনাতন দিন্দা নিজেই।
শিল্পীরা যতই আন্ডারপ্লে করার চেষ্টা করছেন কম্পিটিশনটাকে, সুরুচির গত বছরের প্রধান উপদেষ্টা পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু মনে করছেন পুজোয় রয়েছে মারাত্মক প্রতিযোগিতা।
“কম্পিটিশন না থাকলে তো মজাটাই নেই। আর দেখুন, রাজনৈতিক নেতারা যখন দলের কাজ করেন তখন তাঁরা দলীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নিজের নিজের পুজোর ক্ষেত্রটা হল নিজেদের এক্সপ্রেস করার জায়গা। সেখানে নিজস্ব সংবিধান,” বলছেন কৌশিক।
সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, পুজোর আগেই জমে উঠেছে পুজোকে কেন্দ্র করে এই মারকাটারি কম্পিটিশন।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শহরের বিভিন্ন হোটেলে শুরু হবে এই পুজোগুলোর প্রেস কনফারেন্স যেখানে থিম থেকে শুরু করে পুজোর নানা চমক জানাবেন সংগঠকরা।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত কোন পুজোর উপর? উনি কোন পুজোর উদ্বোধন করবেন?
কথা বলে জানা গেল, চারটে পুজোর উদ্বোধনই করবেন মুখ্যমন্ত্রী। “যত দিন পুজো করব, তত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই উদ্বোধন করবেন,” বলছেন ববি হাকিম। অন্য দিকে অরূপ বিশ্বাস বলছেন প্রতি বছরের মতো এ বারেও সুরুচির উদ্বোধনে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন তিনি ত্রিধারা সম্মিলনী ও নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোরও।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাত কোনও একটা পুজোর উপর যে নেই সেটাও বলে দেওয়া যায়। যদিও এ সব নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নন মন্ত্রীমশাইরা।
নবান্ন আর রাইটার্সে সকাল থেকে কাজ করে সন্ধেবেলা থেকে তাঁরা নিজেদের পুজোর প্যান্ডেলে কাজের তদারকি করছেন।
আর মুখে না বললেও সবার লক্ষ্য অষ্টমীর দিন ঘোষিত হওয়া কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজোর শিরোপা।
চুপচাপ পুজোয় ছাপ।
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।