অমিতাভকে বড় পর্দায় ‘বচ্চন’ দেখাতে চাই

‘দিওয়ার’য়ে অমিতাভের সেই গিঁটবাঁধা ডেনিম শার্ট তাঁর গায়ে। জিৎ-এর মুখোমুখি প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।‘দিওয়ার’য়ে অমিতাভের সেই গিঁটবাঁধা ডেনিম শার্ট তাঁর গায়ে। জিৎ-এর মুখোমুখি প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share:

অমিতাভকে ‘বচ্চন’য়ের ডিভিডি পাঠাবেন?

Advertisement

ডিভিডি কী বলছেন? আমি চাইব ওঁকে বড় পর্দায় সিনেমাটা দেখাতে।

Advertisement

বচ্চনকে কিছু দৃশ্যে নকল করেছেন। তা দেখে উনি যদি রেগে যান?

ওঁকে অসম্ভব সম্মান করি আমি। মনে হয় না উনি অসন্তুষ্ট হবেন। উনি ফিল্মটা দেখলে আমি তো ওঁর দিকে তাকিয়েই বসে থাকব। রিঅ্যাকশন জানার জন্য।

শোনা যাচ্ছে রিলায়্যান্স ছেড়ে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবেন বলে ঠিক করেছেন?

রিলায়্যান্স মনে করে না টলিউডে ওদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। ওরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের স্পেস তৈরি করছে। ওদের দিক থেকে আমার উপর কোনও চাপ নেই যে, এর সঙ্গে কাজ কোরো না বা এর সঙ্গে করো।

অভিনীত সব ছবিতেই কি আপনার সংস্থাকে সহ-প্রযোজক হতেই হবে?

আমার এ রকম কোনও দাবি নেই। আমি পেশাদার। আমার কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। কারও সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই। আগেও তাই করেছি। আগামী দিনেও সেটা করব।

পুজোর বক্স অফিস যুদ্ধে দেবকে অপোনেন্ট হিসেবে কত নম্বর দেবেন?

আমি নম্বর দেওয়াতে বিশ্বাসী নই। দেবের জনপ্রিয়তা নিয়ে আমি খুশি। পুজোতে আমার ছবিটা দেবের ছবির আগে মুক্তি পাচ্ছে। এখন সব ফোকাস ‘বচ্চন’য়ের উপর। তবে বক্স অফিসে যতই যুদ্ধ নিয়ে কথা হোক, আমি কোনও দিন ভাবি না যে অন্যের হারে আমার সাফল্য আসতে পারে।

দেবের মৌলিক ছবির কাজ নিয়ে চর্চা হয়েছে। ইদানীং আপনার ফিল্মোগ্রাফি দেখলে কেন মনে হয় যে মৌলিক ছবিতে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে?

অ্যালার্জি হবে কেন? আগে অনেক মৌলিক ছবি করেছি। সামনেও করব। ‘বস ২’য়ের সাবজেক্টটা তো মৌলিক।

‘বচ্চন’য়ে তিন নায়িকার খামেখেয়ালিপনা সামলালেন কী করে?

পায়েল হাত ভেঙেও শ্যুটিং করেছে। ঐন্দ্রিতার মতো মিষ্টি করে কেউ ট্যানট্রাম থ্রো করতে পারে না। করলেও মনে হত যেন রোম্যান্টিক কথা বলছে! আর আউটডোরে শুভশ্রীর খেয়াল বলতে শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়ার আবদার। একটু চকোলেট ডোনাট হলেই চলে যায়। একটা সুবিধা ছিল যে ওরা তিনজনই একসঙ্গে কখনও শ্যুটিং করেনি। আর স্ক্রিনেও ওরা একসঙ্গে আসবে না। তবে তিনজন একসঙ্গে হলেও সামলে নিতাম!

আত্মবিশ্বাসের গোপন রহস্যটা কী?

এই ইন্ডাস্ট্রিতে বারো বছর কাজ করার অভিজ্ঞতার ফল। আমার প্রজন্মে সব থেকে বেশি নায়িকাদের সামলেছি আমি। তিনজন নায়িকা সামলানো কোনও ব্যাপারই নয়।

আচ্ছা এই যে ছবির মুক্তির আগে বারবার তিরুপতি যান। এটা শুধুই ভক্তি নাকি অন্য কেউ আছে ওখানে?

(হাসি) কেউ নেই। আমি প্রথম তিরুপতি যাই ২০০৯-এ। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। গেলে মনে জোর পাই।

আপনার মতো সুপুরুষ তারকা বিশ্বাস করতে বলছেন যে এটা একদম নিরামিষ ট্রিপ?

হ্যাঁ। একদম তাই। এ বার আমরা তিন ভাই একসঙ্গে যাচ্ছি। অন্য কেউ তিরুপতিতে থাকার ব্যাপার নেই। আর একবার তিরুপতিতে এসে দেখুন, তা হলে বুঝবেন সবথেকে হ্যান্ডসাম আর বিগেস্ট সুপারস্টার হলেন তিরুপতি বালাজি।

তিন ‘বচ্চন’ইজম

একই পোশাক: ‘দিওয়ার’য়ে বচ্চন।

পোশাক

তখন জিৎ স্কুলে পড়েন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘দিওয়ার’। তাঁর বাবা বলেছিলেন হলে গিয়ে ছবিটা দেখে আসতে। সে সময় জানতেনও না একদিন নিজেই ছবির নায়ক হবেন। বা নিজের অভিনীত ছবির ফাইট সিকোয়েন্সে তাঁকে দেখা যাবে ‘দিওয়ার’য়ের অমিতাভের সেই গিঁটবাঁধা ডেনিম শার্ট পরে! সঙ্গে খাকি রংয়ের প্যান্ট আর কাঁধে সেই দড়ি! তবে ‘বচ্চন’য়ে ঠিক সেটাই ঘটেছে। তফাত একটাই, ‘দিওয়ার’য়ের গিঁটবাঁধা শার্ট পরার লুকটা ছিল দর্জির গাফিলতির ফল! কারণ? শার্টটা এতটাই লম্বা ছিল যে গিঁট দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আর ‘বচ্চন’য়ে ডিজাইনারকে বরং বলাই হয়েছিল যেন শার্টের ঝুল লম্বা করা হয়। যাতে ওই গিঁটটা বাঁধা যায়! শুধু তাই নয়, ছবির টাইটেল সংয়েও জিতের পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের ফিল্মের কথা মাথায় রেখে। একটা গানের মধ্যে জিতের তিনটে কস্টিউম চেঞ্জ। কখনও ‘হাম’, কখনও ‘কুলি’, কখনও ‘ডন’ তিনটে ছবির লুককে মাথায় রেখেই সে গানের কস্টিউমের ভাবনা।

সংলাপ

শুধু পোশাক নয়, সংলাপেও বচ্চন-এফেক্ট। ছবির শুরুর দৃশ্যে জিতের মুখে শোনা যাবে সেই জনপ্রিয় সংলাপ: ‘পিটার, তুম জিসে ঢুন্ড রহে হো ও তুমহারা ইঁহা ইন্তেজার কর রহা হ্যায়’। ক্লাইম্যাক্সের ফাইট সিনেও আবার অন্য একটা সংলাপে বচ্চনবাজি। এ বার অবশ্য ‘কালিয়া’ ছবির সংলাপ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভিলেনকে জিৎ বলছেন ‘মুম্বই হো আর কলকাতা, হাম জঁহা খড়ে হোতে হ্যায়, লাইন ওহি সে শুরু হোতি হ্যায়...’

পর্তুগালের সেই লোকেশন:‘বচ্চন’য়ে জিৎ।

শ্যুটিং লোকেশন

পোশাক, সংলাপ তো হল। এমনকী শ্যুটিং লোকেশনেও মিল রয়েছে তাঁর গুরুর সঙ্গে। পর্তুগালে জিৎ গিয়েছিলেন টাইটেল সংটা শ্যুট করতে। জায়গার নাম পেদ্রো দোস দেসকব্রিমেন্টো। গান শ্যুটিংয়ের ঠিক আগে জানতে পারলেন যে ওই একই জায়গায় নাকি বচ্চন নিজেও শ্যুটিং করেছিলেন। ছবির নাম ছিল ‘দ্য গ্রেট গ্যাম্বলার’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement