Zeenat Aman

‘আমার মা হিন্দু, বাবা মুসলিম, দু’জনেই ভারতীয়’, ভুল তথ্যজনিত বিভ্রান্তি রুখে দিলেন জ়িনাত

জ়িনাতের মা নাকি ছিলেন জার্মানির বাসিন্দা, ধর্মে খ্রিস্টান! সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো এ হেন তথ্যবিকৃতির বিরুদ্ধে স্বর তুললেন অভিনেত্রী জ়িনাত। কী বক্তব্য তাঁর?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ২০:১১
Share:

বাবা-মায়ের ভুয়ো পরিচয় নিয়ে সরব জ়িনাত। ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষীয়সী অভিনেত্রী জ়িনাত আমন সমাজমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয়। নিছক সময় কাটানোর জন্য নয়, এই মাধ্যমটিকে তিনি ব্যবহার করেন অনেক বিষয়ে মত ব্যক্ত করতেও।

Advertisement

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন জ়িনাত। যেখানে তাঁকে অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে একটি বিশেষ বিষয়ে একই শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। তার শিরোনাম, ‘জ়িনাত আমন থেকে নার্গিস ফকরি— মিশ্র জাতীয়তার বলিউড অভিনেত্রীরা’। এই তালিকায় এমন অভিনেত্রীদের নামই রয়েছে, যাঁদের বাবা এবং মায়েরা দুই ভিন্ন দেশের অধিবাসী ছিলেন, ভিন্ন ধর্মভুক্তও ছিলেন। জ়িনাত জানান, তাঁর সম্পর্কে প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য ঠিক নয়।

জ়িনাত লেখেন, ‘‘আমি খুশি যে, এমন সব অভিনেত্রীদের সঙ্গে আমার নাম একই বন্ধনীভুক্ত হয়েছে। তবে, সনির্বন্ধ অনুরোধ করব প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তথ্যগুলো একাধিক বার দেখে নিতে। আমার মা জার্মান খ্রিস্টান ছিলেন না, তিনি ভারতীয় হিন্দু ছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন জার্মান খ্রিস্টান। আমার বাবা ছিলেন ভারতীয় মুসলমান। এই তথ্য জনসমক্ষেই প্রকাশিত। এমনকি আমার ইনস্টাগ্রামেও রয়েছে। আমি নিজেও জার্মান ভাষায় খুব সড়গড় নই। ভাসা ভাসা বুঝি। ‘ডাংকে’ (জার্মান ভাষায় ধন্যবাদ)।’’

Advertisement

পরের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাঁর মাকে নিয়ে একটি হৃদয়গ্রাহী পোস্ট ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর শাড়ি পরিহিতা মায়ের হাত ধরে রয়েছেন তিনি।

মায়ের প্রশংসা করে জ়িনাত লিখেছিলেন, ‘‘আমি এক অসাধারণ জীবন পেয়েছি, কারণ, একজন অসাধারণ মহিলা আমায় বড় করেছেন। আমার মা ছিলেন সম্ভ্রান্ত, বুদ্ধিমতী মহিলা। তিনি ছিলেন আমার সাফল্যের অন্যতম স্তম্ভ।’’

মা-বাবার জাতীয়তা নিয়েও সেই পোস্টে বিস্তারিত লেখেন তিনি। জ়িনাতের কথায়, ‘‘মা ছিলেন আচারনিষ্ঠ হিন্দু। সহনশীলতা এবং ভালবাসায় বিশ্বাস করতেন তিনি। বাবা আমানুল্লা খানকে বিয়ে করার পরেও তাঁর বিশ্বাস বদলায়নি। তাঁদের বিচ্ছেদের পরে তিনি এক জন চমৎকার জার্মান মানুষের প্রেমে পড়েন, তাঁকে বিয়েও করেন। আমরা তাঁকে আঙ্কল হেইনিৎজ় বলে ডাকতাম।’’ জ়িনাত জানান, মা তাঁকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে এবং নিজের শর্তে বাঁচতে শিখিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement