বিয়ে নাকি বিধাতার ইচ্ছা! যদি বা হয়, দাম্পত্য কেমন যাবে তা নিয়ে সন্দিহান জিনাত এবং আশা ফাইল চিত্র
৬০ থেকে ৭০-এর দশকে বলিউডের দুই শীর্ষস্থানীয় নায়িকা ছিলেন আশা পারেখ এবং জিনাত আমন। কেরিয়ারে তাঁরা যেমন চূড়ান্ত সাফল্যের মুখ দেখেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে দু’জনেই সমস্যায় জর্জরিত।
আশা আগেই ঠিক করেছিলেন বিয়ে করবেন না। আর জিনাত বিভীষিকাময় দাম্পত্য নিয়ে হিমশিম খেলেন। সব মিলিয়ে দুই তারকারই বক্তব্য, তারকাদের বিয়ে করা উচিত নয়। যদি বা বিবাহিত জীবন থাকে, সেটিকে টেকানোর জন্য সাধারণ মানুষের থেকে দ্বিগুণ চেষ্টা করতে হয়।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আশা আর জিনাতকে একসঙ্গে পাওয়া যেতে প্রশ্ন করার সুযোগ ছাড়তে চান না সঞ্চালক। আশাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন বিয়ে করেননি তিনি। ‘কটি পতঙ্গ’ অভিনেত্রীর সহাস্য জবাব, “লোকে বলে বিয়ে নাকি বিধাতার ইচ্ছা! যদি হওয়ার থাকত, হত নিশ্চয়ই। হয়নি ভাল হয়েছে, এই বেশ ভাল আছি তো।”
অন্য দিকে, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর নায়িকা জিনাত ১৩ বছর মজ়হর খানের সঙ্গে দাম্পত্যে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন, ভাল ছিলেন না তিনি। খারাপ বিবাহিত জীবনের থেকে বরাবরই একা থাকার পক্ষপাতী তিনি। যেমন রয়েছেন এখন, স্বামী প্রয়াত হয়েছেন ১৯৯৮ সালে।
বিবাহিত জীবনের ধকল প্রসঙ্গে জিনাত বললেন, “প্রতিটি যাত্রা আলাদা রকম হয়। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করার আগে মানুষের বোঝা উচিত, শিল্পীদের অনেক কষ্ট করতে হয়। দাম্পত্য টেকনোর আপ্রাণ চেষ্টা তাঁরাও করেন।”
আগেও সঞ্জয় খানকে বিয়ে করেছিলেন জিনাত। সেই সম্পর্ক এক বছরের বেশি টেকেনি। মজ়হরের সঙ্গে অবশ্য তাঁর দুই সন্তান। জিনাত বলে চলেন, “মেয়েরা অনেক আত্মত্যাগ করে আমি জানি। তবে যাঁরা স্পটলাইটে নেই, তাঁদের লড়াইটা কম, আমি বলব। কারণ বিয়ে করতে চেয়েই তারকারা বিয়ে করে। তার পর এমন অনেক কিছু সহ্য করে সেই বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য, যা সাধারণ মানুষ হলে সহ্য করত না।”
আশাকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয় পুরনো এক ঘটনার কথা। এক বার এক আমেরিকান ভদ্রলোকের সঙ্গে রাত দুটোর সময় কফি শপে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রেমে পড়েছিলেন কি? আশা তড়িঘড়ি সেই প্রসঙ্গ চাপা দিতে চাইলেন। বললেন, “কিছুই বলতে চাই না। সম্বন্ধ করে আমার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল।”