ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা আসার যাত্রা পথ কেমন ছিল ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালের মিতুল ওরফে আরাত্রিকার? —ফাইল চিত্র।
মিতুল আর ইন্দ্রের গল্প এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। এখন তাঁদের ছেলে-মেয়ে বড়। সামান্য পুতুল বিক্রেতা থেকে বড় ব্যবসায়ীর বৌ, তার পর মিতুলের নিজের লড়াই দেখেছেন দর্শক। ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালে মিতুলের এই সংগ্রাম সম্পর্কে অবগত সিরিয়ালপ্রেমীরা। পর্দার যেমন লড়াই আছে, তেমনই মিতুল ওরফে আরাত্রিকা মাইতির জীবনেও সংগ্রাম কম নেই।
ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তার। সেখানেই বেড়ে ওঠা। এখনও স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি সে। প্রথম কাজ ‘রানি রাসমণি’ সিরিয়ালে। একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই সিরিয়ালে কোনও সংলাপ পর্যন্ত ছিল না তার। এই সিরিয়ালের পরই করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। লকডাউন হয়ে যায়। সেই সময় সংসার চালানো পর্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলে আরাত্রিকা।
সেই লকডাউনের সময়ই অডিশন চলছিল সিরিয়ালের। ঝাড়গ্রাম থেকে আসার জন্য ট্রেন পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পর্দার মিতুল বলে, “আমার মাকে বাবা একটা আংটি দিয়েছিলেন বিয়ের সময়। অডিশন দেওয়ার জন্য যাতে আমি কলকাতা আসতে পারি, বাবা সেই আংটিটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, যদি কাজ না পাই এই লকডাউনে কী খাব আমরা? তবু আমার স্বপ্নপূরণের জন্য মা-বাবা সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বর্তমানে সেই পুরনো দিনগুলোর কথা বার বার মনে পড়ে।”
এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে আরাত্রিকা। তার অভিনীত সিরিয়ালও টিআরপি তালিকায় প্রথমের দিকে থাকে। নিজেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আরও প্রতিষ্ঠিত করাই একমাত্র লক্ষ্য আরাত্রিকার।