রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা শেট্টি।
সংবাদ মাধ্যম এবং নেটমাধ্যম ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই মর্মে বম্বে আদালতে মামলা করেছিলেন শিল্পা শেট্টি।
শিল্পার অভিযোগ শুনে বিচারপতি গৌতম পটেল জানিয়েছেন, শিল্পা তাঁর আবেদনে যা বলেছেন, তা কার্যকরী হলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, পুলিশের দেওয়া তথ্য তুলে ধরলে তা মানহানিকর হতে পারে না।
স্বামী রাজ কুন্দ্রা তল্লাশির সময় বাড়িতে আসার পর উত্তেজিত হয়ে তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন শিল্পা। সংবাদ মাধ্যম তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে খবর করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর আইনজীবী বলেছেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা হয়েছে, তা জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত হয়নি।
বিচারক পটেলের পাল্টা যুক্তি , শিল্পা এবং রাজের মধ্যে যা ঘটেছে, তা সকলের সামনেই ঘটেছে এবং অপরাধ দমন শাখা সূত্রেই সেই খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কথায়, “জনসমক্ষে আপনার জীবন কেমন হবে, সেটা আপনি বেছে নিয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে উনি (শিল্পা) ওঁর স্বামীকে দেখে কেঁদেছেন। ঝগড়া করেছেন। এটা মানহানিকর নয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় ওঁর মধ্যে অনুভূতি কাজ করে।”
বিচারক পটেল তাঁর রায়ে পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, শিল্পাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রতিবেদনে তাঁর দুই সন্তানকে জড়ানো যাবে না। এটা শিল্পার গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং শিল্পার গোপনীয়তাকে সম্মান করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথাও বলেছেন তিনি।