বলিউডে রোম্যান্টিক ছবির জাদুকর বলা হয় যশ চোপড়াকে। একের পর এক সফল রোম্যান্টিক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু জানেন কি তাঁর নিজের প্রেম জীবনে খুব একটা সুখস্মৃতি নেই?
প্রেমে ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রেমের জাদুকরই। ব্যর্থ হৃদয় নিয়ে অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করেন।
প্রথমে যশ চোপড়ার নিজের প্রযোজক সংস্থা ছিল না। তিনি দাদার সঙ্গে কাজ করতেন। দাদা ছবি প্রযোজনা করতেন এবং সেই ছবি পরিচালনা করতেন তিনি।
সে সময় একটি ছবি তৈরি করছিলেন তিনি, যাতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর বিপরীতে নায়িকা ছিলেন সায়রাবানু।
মমতাজও ছিলেন ওই ছবিতে। তবে তিনি নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন না। পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
ছবির শ্যুটিংয়ের সময় মমতাজের প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছিলেন যশ যে, ছবিতে মমতাজের অভিনয়ের সময় বাড়িয়ে দেন।
ফলে মুখ্য চরিত্রে থাকা ধর্মেন্দ্র এবং সায়রাবানুর অংশ অনেক কমাতে হয়েছিল যশকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছবি সম্পাদনা করার সময় ঠিক এটাই করেছিলেন যশ।
ছবিটার নাম ছিল ‘আদমি অউর ইনসান’। ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দেখা গিয়েছিল মমতাজই ছবির মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
এই ঘটনায় ধর্মেন্দ্র এবং সায়রাবানু অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলেন পরিচালক যশের উপর।
ছবি মুক্তির পর যশের দাদা মমতাজের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। তাতে রাজিও হয়ে যান মমতাজ।
কিন্তু পরে যশের পরিবার মমতাজের সামনে শর্ত রাখে, বিয়ের পর তাঁকে অভিনয় ছেড়ে দিতে হবে। এতেই পিছিয়ে আসেন মমতাজ।
ভাঙা হৃদয়ে যশ তার কয়েক বছর পরই পামেলা চোপড়াকে বিয়ে করেন। মমতাজের কথা যশের কাছে জানতেও চান পামেলা। নেহাত বন্ধু বলেই প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছিলেন যশ। যদিও পামেলা ভালভাবেই জানতেন বিষয়টি এতটাও সোজা নয়।
এ দিকে ৪ বছর পর মমতাজও এক গুজরাতি ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। আর বিয়ের পর তাঁকে অভিনয়ও ছাড়তে হয়। অভিনয় ছাড়ার শর্তে যদি আগেই রাজি হয়ে যেতেন মমতাজ, তা হলে আজ যশ প্রোডাকশনের মালকিন হতেন তিনি।