নায়িকা হয়ে উঠতে গেলে নাকি নাক ঠিক করা আবশ্যিক। এ নিয়ে কম পরামর্শও শুনতে হয়নি ইয়ামিকে। — ফাইল চিত্র।
মাত্র ২০ বছর বয়সে মুম্বইয়ে এসেছিলেন বিনোদনের দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন নিয়ে। মডেলিং ও ছোট পর্দায় হিন্দি সিরিয়ালে একাধিক চরিত্রে অভিনয় করে কর্মজীবন শুরু। তার কয়েক বছর পরে বড় পর্দায় অভিষেক অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমের। বাঙালি পরিচালক সুজিত সরকারে ‘ভিকি ডোনর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন ইয়ামি। তার পর অভিনয় করেছেন ‘বদলাপুর’, ‘সনম রে’, ‘কাবিল’-এর মতো ছবিতে।
‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ ছবিতে তাঁর কাজ নজর কেড়েছিল দর্শক ও সমালোচকের। বহিরাগত হয়েও নিজের দক্ষতায় নিজের জায়গা তৈরি করেছেন ইয়ামি। কাজ করেছেন ‘আ থার্সডে’, ‘সরকার ৩’, ‘লস্ট’-এর মতো অন্য ঘরানার ছবিতে। তার পরেও নাকি নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি ইয়ামি। কারণ হিসাবে অনেকে বলেছিলেন, তাঁর নাক যে পকোড়ার মতো! নায়িকা হয়ে উঠতে গেলে নাকি নাক ঠিক করা আবশ্যিক। এ নিয়ে কম পরামর্শও শুনতে হয়নি বলিউড অভিনেত্রীকে। তবে, সেই সব পরামর্শদাতাকে যোগ্য জবাবও দিয়েছেন ইয়ামি।
বলিউডে অভিষেকের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক দশক। এই ১০ বছরের বেশি সময়ে একাধিক পরামর্শ পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম। সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়েই এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামি জানান, নাকের জন্য কসমেটিক সার্জারি করানোর পরামর্শ পেয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমার নাকি পকোড়ার মতো নাক। তাই আমাকে বলা হয়েছিল অস্ত্রোপচার করানোর জন্য। আমি সাফ না বলে দিয়েছি।’’ তবে, যাঁরা নিজেদের আরও সুন্দর করে তোলার জন্য অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটেন, তাঁদের প্রতি কোনও বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন না তিনি, জানান অভিনেত্রী। তাঁর মতে, ‘‘এটা যাঁর যাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনা, নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কেউ যদি মনে করেন, তিনি কসমেটিক সার্জারি করাবেন, সেটা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। অন্য কারও চাপে পড়ে এই কাজ করার কোনও মানেই হয় না।’’
এর আগে ফর্সা হওয়ার প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন করার জন্য একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ইয়ামি গৌতম। কর্মজীবনের একেবারে গোড়ার দিকে ওই বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনি। তখন তাঁর মধ্যে বোধ কম ছিল বলে ওই প্রসাধনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান ইয়ামি। এখন আর কোনও ভাবেই এমন কোনও সংস্থার সঙ্গে কাজ করবেন না তিনি, সাফাই অভিনেত্রীর।