চিনতে পারছেন অভিনেত্রীকে? ছবি: ফেসবুক।
ছবিটি দেখে বোঝাই যাবে বহু বছরের পুরনো। চারিদিকে আলো। মাঝে মা-বাবা আর দিদির সঙ্গে পোজ় দিয়েছেন নায়িকা। হালকা শীতের সময়ে যে ছবিটা তোলা হয়েছে তা ছবিতে স্পষ্ট। সকলের পরনেই পাতলা সোয়েটার। মা-বাবার মাঝে হাসিমুখে বসে অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে তাঁকে দর্শক দেখছেন অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়ালে। অনেক বার বিতর্কেও জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। বহু খলনায়িকার চরিত্রেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখেন দর্শক। এই মুহূর্তে অবশ্য তাঁর অভিনীত চরিত্র দর্শকের বেশ নজর কেড়েছে। তিনি রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁকে প্রতি দিন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালে দেখেন দর্শক। এখানেও প্রথমের দিকে কিছুটা নেতিবাচক চরিত্রে দেখলেও বর্তমানে তাঁর অভিনীত চরিত্র লাবণ্য বেশ চর্চিত।
প্রতি দিন ১৪ ঘণ্টার শুটিংয়ের ফাঁকে পুরনো দিনে ফিরে গেলেন অভিনেত্রী। মা-বাবা, দিদির সঙ্গে ছোটবেলার ছবি নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন রূপাঞ্জনা। লেখেন, “আমাদের মিত্র পরিবার।” অভিনেত্রীর এই ছবি দেখে তাঁর পরিবারের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেই মুহূর্তগুলি এখনও তাঁর স্মৃতিতে তরতাজা। জীবনে যতই ব্যস্ততা আসুক না কেন পরিবারের পাশে সব সময়ই রয়েছেন তিনি। মা-বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝেই ছবি পোস্ট করেন রূপাঞ্জনা। এপ্রিলে দিদির জন্মদিনে বেশ কিছু ছবি দিয়ে দিদির প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনয়ের পাশাপাশি সংসারটাও চুটিয়ে সামলাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন তিনি। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে একা হাতেই ব়়ড় করছিলেন। এখন অবশ্য পাশে আছেন রাতুল মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি আশীস বিদ্যার্থীর বিয়েকে কেন্দ্র করে বিপুল চর্চা শুরু হয়েছিল দর্শক মহলে। তখন খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলেন রূপাঞ্জনা। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন, “মানুষের মননটা জানা জরুরি। তাঁরা যদি সকাল থেকে উঠে নেতিবাচক বিষয় খুঁজে খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন, তা হলে বুঝতে হবে তাঁদের জীবনটাই আসলে এমন। কিছু হলেই তাঁরা ভয় পান। এগুলোতে বেশি না গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল। এটা তো তাঁর জীবন। তিনি ভাবছেন। আশিসবাবুর সঙ্গে আমার এক বারই আলাপ হয়েছিল। খুবই ভাল মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমি যখন নিজের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করি, তখনও অনেকে নানা মন্তব্য করেছিলেন। তবে তাঁরাই এখন ভাল কথা বলেন। সুতরাং, আমি আশিসবাবুকে শুভেচ্ছা জানাব নতুন জীবনের জন্য।” ছেলে এবং রাতুলকে নিয়ে খুশিতে সংসার করছেন রূপাঞ্জনা।