সৌরভ মানেই অজস্র কৌতূহল
এ খবর খোদ নিজের মুখে জানিয়েছেন ‘দাদা’। জি বাংলার ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে। সেখানে সম্প্রতি খেলতে এসেছিল টিম ‘মিঠাই’। ছিলেন ফাহিম মির্জা, অর্কজা আচার্য, মধুপ্রিয়া চৌধুরী, জন ভট্টাচার্য, ঐন্দ্রিলা সাহা। ধারাবাহিকে রুদ্র (ফাহিম), অর্কজা (বসুন্ধরা), ঐন্দ্রিলার (শ্রীনিপা) দড়ি টানাটানি চলছেই। এসিপি রুদ্রকে দু’জনেই সমান ভাবে চায়! কিন্তু রুদ্র কার হবে? সেই প্রশ্নই ধারাবাহিকের মোক্ষম মোচড়। একই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে সিদ্ধার্থকে টেক্কা দিয়ে মিঠাইয়ের মন জয় করতে নাকি ধারাবাহিকে যোগ দিচ্ছেন জন। দেখা যাবে স্টার জলসার ‘তিতলি’কেও। সেখানেই মধুপ্রিয়ার এক প্রশ্নের উত্তরে সৌরভের জবাব, ‘‘খুব বেশি দেরি নেই! আগামী দেড় বছরের মধ্যেই পর্দায় ‘দাদা’র বায়োপিক দেখা যাবে।’’
সৌরভ মানেই অজস্র কৌতূহল। প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি তারকা অতিথিদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন। বদলে তারকারাও মিটিয়ে নেন তাঁদের আগ্রহ। মধুপ্রিয়ার কথাই ধরুন। খেলার আগেই দাদার সামনে প্রশ্নের ঝুলি উপুড় করে দিয়েছিলেন! জানতে চেয়েছেন সৌরভের জীবনীচিত্রের কথা। প্রশ্ন করেছেন, ‘‘তাবড় তারকাদের জীবনীচিত্র হচ্ছে। তোমার?’’ উত্তরে হাসিমুখে ‘দাদা’ বলেন, ‘‘হচ্ছে, আমারও হচ্ছে। এখন চিত্রনাট্য লেখা চলছে।’’ অভিনেত্রী ছোট থেকে নানা ধরনের সিনেমা দেখতে খুবই ভালবাসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, নিজের জীবনীচিত্রে ‘দাদা’র ভূমিকা কী? মহারাজের দাবি, জীবনের গল্প, তাঁর উত্থান-পতনের কথা বলেই ছুটি তাঁর। বাকি দায়িত্ব প্রযোজক, পরিচালকের। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই পর্দায় দেখা যাবে ‘২২ গজের মহারাজ’কে। যদিও পরিচালক, প্রযোজক এবং তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করছেন কে-- সে সব মোটেই ফাঁস করেননি তিনি!
ছোট পর্দার ‘তিতলি’ এত সহজে ছেড়ে দেননি বিসিসিআই সভাপতিকে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে তাঁর পরের প্রশ্ন, ‘‘সৌরভের ‘প্রেমিক’ রূপ কত নম্বর পাবে স্বয়ং মহারাজের চোখে?’’ ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক স্বচ্ছন্দে ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ বারেও। হাসতে হাসতে তাঁর দাবি, ‘‘পুরো দশে দশ দেব!’’