কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে ছবির পরিচালনার দায়িত্ব আসতে পারে।
বছরশেষে বিনোদন দুনিয়ার মধ্যমণি বিধানচন্দ্র রায়। এসভিএফ এবং রানা সরকার দুই প্রযোজকেরই পছন্দ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। কলকাতার প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা জানিয়েছে, বিধান রায় এবং কল্যাণী সরকারের প্রেমজীবন তাদের ছবির বিষয়বস্তু। অন্য দিকে রানা সরকারের দাবি, তিনি বাঙালির আবেগকে একটি সামান্য চিত্র হিসেবে নয়, প্রামাণ্য জীবনীচিত্রে রূপ দিতে চলেছেন। দ্বিতীয়ত প্রযোজকের আরও দাবি, তিনি জুলাই মাসে ঘোষণা করেছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ছবি বানাবেন। সেই অনুযায়ী বিধান রায়ের ভূমিকায় তাঁর পছন্দ অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পরিচালনা করবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
এসভিএফ এখনও পরিচালক, অভিনেতার নাম কিছুই জানায়নি। কিন্তু টলিউডে জোর গুঞ্জন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে এই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব নাকি আসতে চলেছে। প্রথমত, তিনিও পেশায় চিকিৎসক। ফলে, চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনের খুঁটিনাটি তিনি বেশি ভাল ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, পরিচালক ২০১৩ এসভিএফের ব্যানারে কিংবদন্তি পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের জীবন ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিতে।
সত্যি জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল কমলেশ্বরের সঙ্গে। কমলেশ্বরের কথায়, ‘‘শুনেছি, চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়কে নিয়ে ছবি বানানোর কথা চলছে। আমার সঙ্গে এখনও এসভিএফ এই নিয়ে কোনও কথা বলেনি। কথা বললে নিশ্চয়ই বিষয়টি ভেবে দেখব।’’ টলিপাড়ার গুঞ্জন অনুযায়ী সত্যিই যদি ছবি তৈরির দায়িত্ব পান, কাকে মুখ্য অভিনেতার চরিত্রে বাছবেন? পরিচালকের বক্তব্য, ছবি তৈরির দায়িত্ব পেলে তখন তিনি অভিনেতার খোঁজ শুরু করবেন। তর আগে বিষয়টি নিয়ে কিছুই ভাবছেন না। ঋত্বিক ঘটকের জীবনকে সামনে রেখে তৈরি ছবিতে নীলকণ্ঠ বাগচি (কাল্পনিক নাম) এবং তাঁর স্ত্রী দুর্গার (কাল্পনিক নাম) ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁরাই কি ফিরে আসবেন এই ছবিতেও?
উত্তর দেননি ‘অনুসন্ধান’-এর পরিচালক। তাই পুরোটাই আপাতত নির্ভর করছে সময়ের উপরে।