প্রয়াত সোনালি চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র
দু’দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শঙ্কর-পত্নী সোনালি চক্রবর্তী। সোমবার ভোর ৪টেয় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনি জানালেন, দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন সোনালি। সেই পুরনো অসুস্থতাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে এ বার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তবে টানা দু’দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কাছে হেরে যান তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ সোমবার সকালে ফেসবুকে জানান শঙ্কর। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর মৃতদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর শেষকৃত্য হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
এর আগেও সোনালী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন একই সমস্যা নিয়ে। তার পর ছেড়েও দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আবার শুটিংয়ের কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাঁকে। ক্রমশই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
সম্প্রতি ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে খড়ি ওরফে শোলাঙ্কির জেঠিমার চরিত্রে দেখা যাচ্ছিল সোনালীকে৷ তাঁর মৃত্যুতে টেলিভিশন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, ‘‘ বিশিষ্ট অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি।....তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র দাদার কীর্তি, সংসার সংগ্রাম ইত্যাদি। চলচ্চিত্র ছাড়াও জননী, গাঁটছড়া ইত্যাদি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করেছেন।...তাঁর মৃত্যু অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। আমি সোনালি চক্রবর্তীর স্বামী শংকর চক্রবর্তী সহ অন্যান্য পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।’’
সম্প্রতি মূলত ছোট পর্দায় তাঁকে দেখা গেলেও বড় পর্দায়ও এক সময়ে চুটিয়ে কাজ করেছিলেন সোনালি। নব্বইয়ের দশকের একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করার পরও ২০০২ সালে ‘হার জিৎ’, ২০০৮ সালে ‘বন্ধন’-এর মতো বেশ কিছু হিট ছবিতে দেখা গিয়েছিল সোনালিকে।