তারার আলোয় -ফাইল চিত্র
বাবা-মা খ্যাতনামী হলে, তাঁদের রোশনিতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সন্তানরা। ছোট থেকে আর পাঁচটা শিশুর তুলনায় আলাদা খাতির পায় তারকাসন্তানরা। এই ব্যাপারটা একেবারেই পছন্দ করেন না অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালক স্বামী আদিত্য চোপড়া। মেয়ে আদিরা দেখতে দেখতে ৬ বছরে পা দিল। তাকে ছাপোষা জীবনের স্বাদ দিতে চান তারকাজুটি। স্পটলাইটে এনে বিব্রত করতে চান না। সে কারণেই আলোকচিত্রীদের থেকে দূরে রাখেন আদিরাকে।
রানি জানিয়েছেন, মেয়েকে সাধারণ ভাবে বড় করতে চান। সচেতন করে দিতে চান না এই বলে যে, ওর বাবা-মা সফল তারকা।
অভিনেত্রী আরও জানান, আদিরা তার স্কুলে বিশেষ খাতিরযত্ন পাক, তা-ও চান না তিনি। আর পাঁচ জন শিশুর মতো স্বাভাবিক শৈশব নিয়ে বড় হোক মেয়ে, তা-ই চান ‘মর্দানি’ নায়িকা। রানির কথায়, ‘‘আমি চাই জনসমক্ষে বেরোক আদিরা। লোকে চিনতে পেরে প্রতিনিয়ত ছেঁকে ধরলে ছোটবেলার আনন্দটাই মাটি। খুশি মতো ঘুরুক, ফিরুক। নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করুক ও।’’
শুধু রানি নন, অনেক তারকাই সন্তানদের ক্যামেরার সামনে আনতে চান না। শিশুর জন্মের পর মুখ দেখাতে চান না বেশ কয়েক বছর। মনে পড়তে পারে ক্রিকেটতারকা বিরাট কোহলি ও অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার কন্যা ভামিকার কথা। এখনও তাঁদের ২ বছরের মেয়ের মুখ দেখেনি বাইরের লোক। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া আর নিক জোনাসের কন্যা মালতীর তবু চেহারা দেখা গিয়েছে। ১ বছর পূর্ণ হলে কি কন্যার মুখ দেখাবেন তারকাজুটি? কে জানে! সোনম কপূর আর আনন্দ অহুজার পুত্রের মুখও কেউ দেখেনি। আলিয়া ভট্ট, বিপাশা বসুর কন্যাদের কথা বাদই থাক। তারা সদ্যোজাত। সবার হাজার কৌতূহল সত্ত্বেও তারকাসন্তানদের মুখ দেখা এখন রীতিমতো কঠিন।
করিনা কপূর এবং সইফ আলি খানও তাঁদের দুই পুত্র তৈমুর আর জহাঙ্গিরকে চিত্রসাংবাদিকদের থেকে দূরে রাখেন। অল্প বয়সে চর্চায় চলে এসে সুস্থ জীবনের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হোক শিশুরা, কোন বাবা-মা চাইবেন!