বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ক্যাটরিনা কইফ। ক্যাটরিনার ডেট পাওয়ার জন্য অনেক পরিচালককেই অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু এমন একটা সময় ছিল, যখন একটি ফিল্মের মাঝপথ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সবটাই মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছিল ক্যাটরিনাকে।
২০০৩ সালে ‘বুম’ ফিল্মে আত্মপ্রকাশ হয় ক্যাটরিনার। ছবিটি বক্স অফিসে একেবারেই চলেনি। ফিল্মের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাটরিনাও সকলের অগোচরেই রয়ে যান।
ফলে স্ট্রাগল শুরু হয় ক্যাটরিনার। সে সময়ই আরও একটি ফিল্মের শ্যুটিং শুরু হয়। ফিল্মের নাম ছিল ‘সায়া’।
এই ফিল্মে ক্যাটরিনার বিপরীতে অভিনয় করছিলেন জন আব্রাহাম। জনও তখন উঠতি অভিনেতা।
মডেলিং থেকে তখন সবে বলিউডে পা রাখছেন জন। জন এবং ক্যাটরিনা দু'জনেই তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন।
মহেশ ভট্ট তাঁর এই ফিল্মের জন্য এমন নতুন মুখই খুঁজছিলেন। জন এবং ক্যাটরিনাকে তিনি নিজের ফিল্মের জন্য সই করিয়ে নেন।
ফিল্মের শ্যুটিংও শুরু হয়। কিন্তু তৃতীয় দিন সেটে গিয়ে ক্যাটরিনা জানতে পারেন, তাঁকে ফিল্ম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তাঁর বদলে তারা শর্মা নামে আর এক নবাগতকে ফিল্মে নেওয়া হয়েছে।
কেন এ রকম করা হল তাঁর সঙ্গে? ক্যাটরিনা জানতে পারেন যে, তাঁর কো-স্টার জনের অনুরোধেই এমন হয়েছে।
ক্যাটরিনা তখন ভাল ভাবে হিন্দি বলতে পারতেন না। তাঁর হিন্দি উচ্চারণও ভাল ছিল না। সে কারণেই জন নাকি তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না।
এই ঘটনা অবশ্য লাকি হয়ে ওঠে ক্যাটরিনার কাছে। কারণ এর পরই ক্যাটরিনার পরিচয় হয় সলমনের সঙ্গে।
সলমনই ক্যাটরিনার কেরিয়ারের দায়িত্ব নিয়ে নেন। সমস্ত প্রযোজক এবং পরিচালকের কাছে ক্যাটরিনার জন্য কথা বলতে শুরু করেন তিনিই।
বড় ব্যানারের ছবির প্রস্তাব পেতে শুরু করেন ক্যাটরিনা। কখনও সলমন, তো কখনও অক্ষয় কুমারের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি।
এর পর ২০০৯ সালে ফিল্ম ‘নিউ ইয়র্ক’-এর সুযোগ আসে তাঁর কাছে আর এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে ফের এক বার জনকে নেওয়া হয়।
ক্যাটরিনা চাইলেই প্রতিশোধ নিতে পারতেন, জনকে এই ফিল্ম থেকে বাদ দেওয়ার শর্ত রাখতেই পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং তাঁরই বিপরীতে অভিনয় করে ‘বদলা’ নিয়েছিলেন সেই অপমানের।