জিৎ অন্য ধারার ছবিতেও অভিনয় করেছেন। নিজেকে ভাঙতে ভালবাসেন তিনি। তাই তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘বাচ্চা শ্বশুর’, ‘অসুর’, ‘শুরু থেকে শেষ’-এর মতো ভিন্ন ধারার ছবিতেও। সেখানেও নায়ক জিৎ নিজের প্রতিভার জোরেই প্রশংসিত। সেই সমস্ত ছবিও বাণিজ্যিক দিক থেকে সফল।
জিৎ
নায়ক জিৎ স্বপ্ন দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন? জীবন কি তাঁর চোখে সবসময়েই ‘লার্জার দ্যান লাইফ’?
সঠিক উত্তর নায়কেরও জানা নেই। কিন্তু সুপারস্টার জিৎ জানেন, বড় মাপের ছবিতেই তাঁকে বেশি মানায়। বিনোদন দুনিয়া যাকে ‘মসালা ছবি’ বলে। পর্দার রোমান্স, গল্প, নাচ-গান, অ্যাকশন দর্শককে এক রঙিন জগতে পৌঁছে দেয়। অভিনয় করতে করতেই তিনি অনুভব করেন, এই ধরনের ছবির আকর্ষণ, জৌলুস আলাদা। তাই এই ধরনের ছবিতে কাজ করতেই জিৎ বেশি ভালবাসেন। কল্পনায় ভাসিয়ে নিয়ে যেতে ভালবাসেন দর্শকদেরও। জিৎ-এর আরও উপলব্ধি, বাংলার দর্শকও এই ধরনের ছবি দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং তাঁর আফশোস, বিগত কয়েক বছর ধরে এই ধরনের ছবি তৈরিতে বেশ কিছুটা পিছিয়েই গিয়েছিল বাংলার বিনোদন দুনিয়া।
এই প্রথম নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে জিৎ এত অকপট। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউবের লাইভ শো ‘অ-জানাকথা’-য় জিৎ সংবাদমাধ্যমের প্রতি হাল্কা অনুযোগও এড়িয়ে যাননি। তাঁর বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমও যেন খানিকটা মুখ ফিরিয়েই ছিল এই ধরনের ছবির প্রচারে। পাশাপাশিই জিৎ জানিয়েছেন, তাঁর নতুন ছবি ‘রাবণ’-এর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তাই মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ভাল ফল করছে ছবিটি। এবং এই ধরনের ছবি থেকেই সাধারণত লাভের মুখ দেখে ইন্ডাস্ট্রি। প্রযোজক, পরিবেশক, হলমালিক থেকে শুরু করে অভিনেতা, কলা-কুশলী সবারই লক্ষ্মীলাভ হয়। জিৎ-এর কথায়, ‘’বাংলা থেকে কেন এই ধরনের ছবির মুক্তি গোটা দেশে সাড়া ফেলবে না?’’
তবে জিৎ অন্য ধারার ছবিতেও অভিনয় করেছেন। নিজেকে ভাঙতে ভালবাসেন তিনি। তাই তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘বাচ্চা শ্বশুর’, ‘অসুর’, ‘শুরু থেকে শেষ’-এর মতো ভিন্ন ধারার ছবিতেও। সেখানেও নায়ক জিৎ নিজের প্রতিভার জোরেই প্রশংসিত। সেই সমস্ত ছবিও বাণিজ্যিক দিক থেকে সফল।