নতুন মেগায় চাঁদনি
২০১১-এ ‘বিন্দি’ দিয়ে ছোট পর্দায় তাঁর যাত্রা শুরু। সেই থেকে একের পর মুখ্য চরিত্রে চাঁদনি সাহাকে দেখেছেন দর্শক। কিন্তু আগের মতো নায়িকার ভূমিকায় নয়, এখন পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। কেন এই বদল? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রশ্ন: নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’-য় কেমন আপনার চরিত্র?
চাঁদনি: এত বছর পরে এমন চরিত্র পেলাম। ১২ বছরের কেরিয়ারে এই ধরনের কাজ করিনি। নায়িকা ‘মাধবীলতা’র দিদি ‘মালতী’র চরিত্রে দেখা যাবে আমায়। পুরুলিয়ায় শ্যুটিং চলছে।
প্রশ্ন: মুখ্য চরিত্রে অভিনয় দিয়ে শুরু। নায়িকা হওয়া সহজ?
চাঁদনি : আমার মনে হয় টিকে থাকাটাই সবচেয়ে কঠিন। এখন যেমন নতুনরা নায়িকা হয়, সে দিক থেকে দেখলে নায়িকা হওয়া সহজ। কিন্তু পরপর কাজ পাওয়া কঠিন। একটা ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র পেয়ে গিয়ে হাওয়ায় ভাসলে মুশকিল। ২০২২-এ দাঁড়িয়ে নায়ক-নায়িকা হওয়ার ভাবনাটাই খুব বোকা বোকা।
প্রশ্ন: মুখ্য চরিত্র থেকে হঠাৎ পার্শ্ব চরিত্রের দিকে ঝুঁকলেন কেন?
চাঁদনি: অনেকগুলো লিড করেছি। সেই শখ পূরণ হয়ে গিয়েছে। নিজেকে নানা রকম চরিত্রে ভাঙতে চেয়েছিলাম। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলে দর্শকের কাছে তখন নতুন চরিত্রের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। আমি নতুন নতুন কাজ করতে চাই । নিজেকে বিভিন্ন ভাবে মেলে ধরতে চাই।
প্রশ্ন: নতুন নায়িকাদের ভিড়ে পিছিয়ে পড়ছেন?
চাঁদনি: না, কখনওই তা নয়। বহু অভিনেতার কাজ ভাল লাগে। ইধিকা, সৌমিতৃষা, অন্বেষা আমার ভীষণ প্রিয়। ১০ বছর পরে পুরনো হয়ে গেলে ওরাও হয়তো নিজেকে ভাঙতে চাইবে।
প্রশ্ন: অনেকেই বলেন মুখ্য চরিত্র পাননি বলে এমন চরিত্রে অভিনয় করছেন?
চাঁদনি: হ্যাঁ, সত্যিই আমি ‘লিড’-এর সুযোগ পাইনি । ‘যমুনা ঢাকি’র পরে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের ডাক আর আসেনি। কিন্তু তাতে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। এই সময়ে দাঁড়িয়ে যে চরিত্রগুলো পাচ্ছি, সেগুলো আমার কাছে মূল্যবান।