শ্রীলেখা মিত্র।
ইদানীং রসিকতায় মজে রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। ফেসবুকে কখনও নিজেকে নিয়ে অবলীলায় রসাত্মক মন্তব্য করেন। কখনও দুষ্টুমি করেন অন্যদের নিয়েও। বুধবার রাতে তেমনই ছোট্ট নমুনা রেখেছেন ফেসবুকে। সাজের ছবি দিয়ে হাল্কা খোঁচাও দিয়েছেন, ‘মাচা শো-তে যাচ্ছি নকল গয়না পরে। কথা দিচ্ছি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইব না।’ সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া দুটো ঘটনা বলছে, একটি মন্তব্যে একাধিক জনকে বিঁধলেন শ্রীলেখা!
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই আগাম আত্মসমর্পণ অভিনেত্রীর, ‘‘আমি কিন্তু কাউকে কিচ্ছু বলিনি। যা করেছি আর যা করব না, সেটাই ভাগ করে নিয়েছি সবার সঙ্গে!’’ পোস্ট পড়ে যথারীতি শ্রীলেখার অনুরাগীরা খুল্লমখুল্লা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁকে।
প্রকৃত ঘটনা কী? কিছু দিন আগে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে ছবি দিয়ে বহু জনের কটাক্ষের শিকার। কেউ অঙ্কুশকে তাঁর ‘নতুন স্বামী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কেউ খোঁচা দিয়েছেন তাঁর শাড়ি, গয়না নিয়ে। মন্তব্য বিভাগে লিখেছেন, ‘আপনি তো আবার সোনা-রুপো ছাড়া নকল গয়না পরেন না!’ জবাবে সুদীপাও ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি নকল গয়না পরেন না। মন্তব্যকারীকে উদ্দেশ্য করে ‘অশিক্ষিত’ শব্দটি লিখতেই তোলপাড় ফেসবুক। তার আগে মাচায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা ‘ধনধান্যপুষ্প ভরা’ গেয়ে তাকে রবীন্দ্রগান বলে উল্লেখ করে বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন ইন্দ্রাণী হালদার।
শ্রীলেখা কি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে এই দুই ঘটনা নিয়েই কটাক্ষ করলেন? কারণ মন্তব্য বিভাগে স্পষ্ট লেখা, ‘জানি তো! তুমি তো শ্রীলেখা, ...ময়ী নও।’ এই মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন পওসম প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার। জানিয়েছেন, কোনও ‘রান্নাঘরও চালাই না’!
যদিও উত্তরে অভিনেত্রীর অকাট্য যুক্তি, ‘‘যা বলছেন, অনুরাগীরা বলছেন!’’ তার পরেই সংযত শ্রীলেখার দাবি, তারকারা জনপ্রিয় অনুরাগীদের ভালবাসার জোরে। তাই তাঁদের অকারণে অপমান না করাই মানবিকতার লক্ষ্মণ। কেউ কেউ সে সব ভুলে যান। পাশাপাশি এ-ও বলেন, ‘‘তাড়াহুড়োয় অনেক সময়েই কোনও গানের রচয়িতার নাম মনে থাকে না। সে ক্ষেত্রে, হয় সেটি গাইব না। অথবা শুধু গানটি গেয়ে নেমে আসব। ভুল না বলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমজনতা মোটামুটি সব কিছুই খোঁজ রাখেন।’’
অভিনেত্রী আপাতত ব্যস্ত তাঁর আগামী কাজ নিয়ে। বাবা সন্তোষ মিত্রকে উৎসর্গ করে ‘এবং ছাদ’ ছবিটি বানাচ্ছেন তিনি। পরিচালক-প্রযোজক জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার কোনও একটি ছাদে শ্যুট করবেন। ছোট পর্দা, মঞ্চের একাধিক নতুন প্রতিভাদের নিয়ে কাজ করতে চলেছেন তিনি। এ ছাড়াও অভিনয় করবেন শ্রীলেখা নিজে এবং তাঁর পিসি তপতী দাস। আপাতত প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার আর পিসির কথায় বারেবারে উঠে আসছেন বাবা। বাবা থাকলে ওঁকে দিয়েই ক্ল্যাপস্টিক দেওয়াতাম। মেয়ের ধাপে ধাপে উন্নতি দেখে খুব খুশি হতেন।’’ মাঝে ‘হু’ নামে একটি গা ছমছমে ছোট ভয়ের ছবিও বানিয়েছেন তিনি। এ সবের মধ্যেই তাঁর এই কটাক্ষ উপভোগ করেছেন সবাই।