পাভেল।
অতিমারির সময়ে সকলে যখন কম বাজেটে, অল্প পরিসরের কাহিনি ভাবছেন, তখন পাভেল জানালেন তিনি পিরিয়ড ছবির পরিকল্পনা করছেন। এর আগে তাঁর পরিচালিত ‘রসগোল্লা’ও ছিল পিরিয়ড মুভি। ‘‘ছোট ক্যানভাসেরই একটা ছবি ভাবছিলাম কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই এলাহি ব্যাপার হয়ে গেল,’’ হাসতে হাসতে বললেন পাভেল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকায় প্রেম কাহিনি, পরিচালকের নতুন ছবির বিষয়বস্তু। তবে সত্যি ঘটনা নয়, কাল্পনিক বিষয়বস্তু নিয়েই তৈরি হচ্ছে ‘মিথ্যুক’। চরিত্র নির্বাচনের কাজ এখনও চলছে।
‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট রাখার একটা বড় কারণ রয়েছে। বাঙালি চিরকালই সাহসী জাতি। স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের তালিকা দেখলে বোঝা যাবে, বাঙালির আত্মত্যাগের কাহিনি। নকশাল আন্দোলনের সূত্রপাতও এখানে। যে কোনও বৈপ্লবিক কাজে বাঙালিরাই যে চিরকাল এগিয়ে এসেছে, সেটা সকলকে ফের মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন,’’ বলছিলেন পাভেল। ছবির নাম কেন ‘মিথ্যুক’ রেখেছেন সে ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘‘শুধু ‘মিথ্যুক’ নয়, ট্যাগ লাইনও আছে ‘কিছু মিথ্যে সত্যি হোক’। সব মিথ্যেই তো খারাপ হয় না, ক্ষতিকারক হয় না। কিছু মিথ্যে মিষ্টি হয়, যাকে আমরা গুল বলি। এই সাদা মিথ্যেগুলো যেন হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের জীবন থেকে। ছবির কাহিনির সঙ্গে মিষ্টি মিথ্যের গভীর যোগ রয়েছে।’’
পিরিয়ড ফিল্মের আয়োজন কম নয়। সে পর্বে কিছু জটিলতাও এসেছে। পরিচালক বলছিলেন, ‘‘পিরিয়ড ছবির জন্য অনেক রিসার্চ, ফিল্ড ওয়র্ক করতে হয়, রেকির কাজও ছিল। লকডাউন-আনলকের চক্করে সেগুলো করতে সময় লাগল বেশি। আর স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনা যাঁরা বলতে পারবেন, তাঁরা সকলেই প্রায় প্রবীণ আর একেবারেই টেক-স্যাভি নন। তবে আমি আর আমার টিম প্রি-প্রোডাকশন মোটামুটি সেরে ফেলেছি।’’ করোনার পরিস্থিতিতে শুটিং যে সহজ হবে না, তা জানেন পরিচালক। ‘‘এনা (সাহা) নতুন প্রযোজক হলেও, খুব এফিশিয়েন্ট। অতিমারির পরিস্থিতিতে ওরা একটা গোটা ছবির শুটিং করে ফেলেছে, যেখানে একজনেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসেনি। তাই শুটিং নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী,’’ মন্তব্য পাভেলের। নভেম্বর মাসে কালীপুজোর পরে ‘মিথ্যুক’-এর শুটিং শুরু হবে।